Share this link via
Or copy link
কোনও সন্দেহ নেই যে আজও তৃণমূল কংগ্রেস দলের মুখ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজও দলের শেষ কথা তিনিই বলেন। এমনটাই মনে করেন শাসক দলের কর্মী-সমর্থকরা। কিন্তু একটা সম্ভাবনাও রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের ভাবাচ্ছে, সুচিন্তিতভাবে কি দলের সংগঠনের দায়িত্ব কোনওভাবে সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতেই হস্তান্তর হচ্ছে? খানিকটা এমনটাই সত্যি মনে করেন সাংসদ তথা প্রাক্তন ফুটবল খেলোয়াড় প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়।
তৃণমূলের হাওড়ার সাংসদ প্রসূনবাবু টেলিফোন সাক্ষৎকারে সিএন পোর্টালকে জানালেন, নতুন পুরাতন বলে দলে কিছু নেই। দিদিই আমাদের আদর্শ কিন্তু অভিষেক দায়িত্ব নেওয়ার পর তাঁর মনে হয়েছে, এতো অল্প বয়সে এই অভিজ্ঞতা খুব কম মানুষের আছে। যা এখন পাওয়া যাচ্ছে। তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, দল কি তবে অভিষেকের ফর্মুলা মেনে এক ব্যক্তি এক পদ নিয়ে চলেছে?
তিনি বললেন, 'এটা খারাপ কীসে? দীর্ঘদিন ধরে একই নেতারা সবধরনের ক্ষমতা দখল করে রয়েছেন এটা ঠিক নয়, এতে আত্মম্ভরিতা বাড়ে। দায়িত্ব সবসময়ে ভাগ করে দিতে হয়।' প্রসূনবাবু বললেন, 'দলের অন্দরে ১ শতাংশ মানুষেরও যদি কোনও কেলেঙ্কারি মানুষের সামনে চলে আসে তবে সেটা তো দলেরই সংকট। তাই পরিবর্তন যদি আসে মন্দ কী?'
এই সাক্ষাৎকারে এক প্রশ্নের উত্তরে প্রসূন জানান, অভিষেক কারও উপর কিছু চাপিয়ে দেওয়ার ছেলে নয়। বরং সর্বদা আলোচনা করে সকলের অভিমত জানতে চান, যেটা তাঁদেরও ক্ষেত্রে হয়েছে দিল্লিতে। প্রশ্ন করা হয়, অভিষেক তো সব তরুণদের দায়িত্ব দিতে চাইছে? প্রসূনবাবু বলেন একদম বাজে কথা, ও উপযুক্ত মানুষকেই খুঁজে নিচ্ছে যেখানে বয়স কোনও সমস্যা নয়।
বাস্তবেই কিন্তু তার প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে শিক্ষা কেলেঙ্কারির কারণ এক লহমায় দল থেকে ছেঁটে ফেলা হয়েছে। তেমনই শুক্রবার অনুব্রত মণ্ডলকে সরিয়ে দেওয়া হলো পূর্ব বর্ধমানের দায়িত্ব থেকে। বাকি রইলো বীরভূম, সে তো সময়ের অপেক্ষা|