Share this link via
Or copy link
কেন্দ্রীয় এজেন্সি ইডি-সিবিআইয়ের (CBI ED) অতিসক্রিয়তার অভিযোগে বঙ্গ বিধানসভায় পাশ হয়েছে প্রস্তাব। মমতা সরকারের এই পদক্ষেপের সমালোচনায় সরব রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। বিরোধী দলনেতা বিধানসভায় (Bengal Assembly) জানান, ২০২১-র ৫ মে'র পর থেকে যে ক'টা সিবিআই তদন্ত বাংলায় চলছে, তার সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকার (Modi Government) বা বিজেপির ভূমিকা নেই। সব কোর্ট নির্দেশে তদন্ত চলছে। আমি শাসক দলকে প্রশ্ন করেছিলাম, বাংলায় বাগযুদ্ধ না করে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) কেন যাননি? রামপুরহাট, ঝালদা, হাঁসখালি-কাণ্ডে সুপ্রিম কোর্টে যেতে পারতেন। আসলে ডাল মে কুছ কালা হে, তাই ওরা যেতে পারেননি।
তিনি বলেন, 'সুপ্রিম কোর্ট কোনও রায় দিলে, সেটা দেশে রুল হিসেবে কার্যকর হয়। কার্তি চিদম্বরমের মামলায় জুলাই মাসে সুপ্রিম কোর্ট আর্থিক তছরূপ মামলায় ইডির কর্মপদ্ধতিতে সিলমোহর বসিয়েছে। রাজ্যের বিধানসভায় যেভাবে ইডির বিরুদ্ধে প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে, সেটা সম্পূর্ণ বেআইনি। আমি অধ্যক্ষকে বলেছি আপনি যেভাবে প্রস্তাব গ্রহণ করালেন, সেটা পরে আদালতে চ্যালেঞ্জ হতে পারে।'
এদিন বিরোধী দলনেতা বলেন, 'লালকেল্লাতে ভাষণ থেকে দুর্নীতি বিরুদ্ধে মোদীজি যে কথা বলেছেন, সেটা বাংলাকে উদ্দেশ্য করেই। প্রধানমন্ত্রী তো উনার মতো (পড়ুন মুখ্যমন্ত্রী) নিচে নামতে পারবেন না। তাই বুঝিয়ে দিয়েছেন দুর্নীতির বিরুদ্ধে তাঁর সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি। আর ২০১৮ সালে সিবিআই তদন্তের ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের অনুমোদনের বিষয়টা মুখ্যমন্ত্রী প্রত্যাহার করেন।'
তিনি জানান, আমাদের অন্য বিধায়করা বিধানসভায় সোচ্চার হয়েছিলেন, যে চোরেদের যারা বীরের সম্মান দেয়, তার চেয়ে লজ্জার আর কিছু নেই। বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ বলেছেন সিবিআইয়ের অধিকর্তা নিয়োগে কোনও রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ থাকে না। নির্বাচক কমিটিতে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি থাকেন।'