১২ মে, ২০২৪

Bengal: রিষড়া-কাণ্ডে যুযুধান! 'দাঙ্গাবাজদের রেয়াত নয়', সরব মমতা, সুকান্তর তিরে পুলিস
CN Webdesk      শেষ আপডেট: 2023-04-04 18:47:35   Share:   

রবিবার এবং সোমবারের পর মঙ্গলবারেও রিষড়া-কাণ্ডে (Rishra Violence) তপ্ত বঙ্গ রাজনীতি। এদিন বেলার দিকে রিষড়ার উপদ্রুত স্থান ঘুরে দেখেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (Governor Bose)। পাশাপাশি ডানকুনিতে আটকানো হয় বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumder) কনভয়। এই প্রসঙ্গে বঙ্গ বিজেপির সভাপতি পুলিস প্রশাসনকে তির্যক ভাষায় সমালোচনা করেন। যদিও রাম নবমীর মিছিল ঘিরে হওয়া অশান্তি প্রসঙ্গে মঙ্গলবার দিঘায় মুখ খোলেন মুখ্যমন্ত্রী (CM Mamata)। এই উত্তেজনা তৈরির পিছনে বিজেপিকে কাঠগড়ায় তোলেন মমতা।

মঙ্গলবার ডানকুনিতে তাঁর কনভয় আটকানো প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বলেন, 'পুলিস তৃণমূলের উপরতলার নির্দেশে কাজ করছে। যেখানে রাজ্যপাল ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ সংবাদ মাধ্যমকে ঢোকার অনুমতি দিচ্ছে না। পুলিস কী লুকনোর চেষ্টা করছে। কী এমন ঘটেছে? পুলিস তৃণমূলের পার্টি ক্যাডার হিসেবে কাজ করছে।' পুলিস প্রশাসনের ভূমিকাকে তোপ দেগে বঙ্গ বিজেপির সভাপতি ডানকুনিতে জানান, 'রেলগেটে বোমাবাজি হয়েছে, আগুন জ্বালানো হয়েছে ১৪৪ ধারা থাকা স্বত্বেও। পুলিস কী করছিল, এখানেই বোঝা গিয়েছে। আমাদের আটকাতে পুলিস এখানে চলে এসেছে। ওদের কাজ রিষড়ায় গিয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা। আমাদের ইচ্ছা করে আটকে একটা অচলাবস্থা তৈরির চেষ্টা চলছে।' 

রিষড়ার উপদ্রুত এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি প্রসঙ্গে এদিন বিজেপি সভাপতি বলেন, '১৪৪ ধারার নিয়ম ৫ জনের বেশি জমায়েত করা যাবে না। আমরা এখানে দু'জন সাংসদ যেতে চাইছি। ওদের যদি মনে হয় আমরা কিছু নিয়ে ঢুকছি আমাদের তল্লাশি করুক। পুলিস আইন ভেঙে নিজেই আইন তৈরি করছে। আইন তৈরি করার কাজ সাংসদ-বিধায়কের, সেই কাজ রাস্তায় দাঁড়িয়ে পুলিস করছে।'

এদিকে মঙ্গলবার বেলার দিকে সুকান্ত যখন ডানকুনিতে দাঁড়িয়ে পুলিস প্রশাসনকে তোপ দাগছেন, তখন দিঘায় অন্য মুডে মুখ্যমন্ত্রী। এদিন হাত জোর করে মমতা আবেদন করেন, 'গোষ্ঠী সংঘর্ষে পা দেবেন না, উসকানি দেবেন না। শান্তি বজায় রাখুন। বাংলা এগিয়ে যাচ্ছে, তাই হিংসায় এঁরা জ্বলে যাচ্ছে। জ্বলবি আর ফুলবি কিন্তু বাংলায় কিছু করতে পারবি না।' সুর চড়িয়ে তাঁর মন্তব্য, 'কখন বিজেপি গিয়ে কোথায় দাঙ্গা করবে, দেখতে আমাকে পড়ে থাকতে হয়। এঁরা বোঝে না বাংলার মানুষ দাঙ্গা পছন্দ করে না। বিজেপির লোকেরা পারে না, তাই বাইরের গুণ্ডা এনে দাঙ্গা করায়। এটা দুষ্কৃতী তাণ্ডব।' তাঁর স্পষ্ট হুঁশিয়ারি, 'বাংলায় যারা দাঙ্গায় প্ররোচনা দিচ্ছে, দাঙ্গার মাথাদের আমি রেয়াত করবো না। আমাকে সিবিআই-ইডি দেখাবেন না, আমাদের পুলিস তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে। কাউকে ছেড়ে কথা বলা হবে না। যারা দাঙ্গাবাজ, গাড়ি, সরকারি সম্পত্তি পোড়াবে, তাঁদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে সরকার নিলামে তুলে সেই ক্ষতি পূরণ করবে। আমি নজর রাখছি, কারা বাইরে থেকে আসছেন, দাঙ্গায় ইন্ধন যোগাচ্ছে, এসব আমরা মেনে নেবো না।'


Follow us on :