Share this link via
Or copy link
প্রসূন গুপ্ত: কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন নয়, যেকোনও রাজ্যের পুর বা প্যাকেট ভোটের দায়িত্ব থাকে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। তবে সাধারণত পঞ্চায়েত দফতর থেকে অনুমোদন নিয়ে রাজ্য সচিবালয় মুখ্যমন্ত্রীর অনুমতিক্রমে নির্বাচন কমিশনকে জানায় ,সেই মোতাবেক দিন ঠিক হয়। পশ্চিমবঙ্গের আগের পঞ্চায়েত ভোট হয়েছিল ২০১৮-তে। সেই ভোট ঘিরে শাসক দলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ উঠেছিল বিস্তর। ভোটে শতকরা ৯০% শতাংশ আসন পেয়েছিল তৃণমূল। কিন্তু এই ভোট নিয়ে রাজ্যের এক বিরাট সংখ্যক ভোটারের ক্ষোভ ছিল যে ভোট হয়েছে গা-জোয়ারিতে।
এবারে পঞ্চায়েত ভোটের সময় হিসাবমতো ২০২৩-এর মে মাসে। কিন্তু শোনা যাচ্ছিল, যে ভোট এগিয়ে এসে হতে পারে ডিসেম্বর ২০২২-এ। কিন্তু এখনও তা ঠিক না হলেও রাজনৈতিক মহলের ধারণা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভোট এগিয়ে আনলেও তা কোনওভাবে হয়তো ফেব্রুয়ারির আগে নয়। এখানেও প্রশ্ন থাকে ফেব্রুয়ারিতে মাধ্যমিক এবং তারপরে উচ্চ মাধ্যমিক। কাজেই পরীক্ষার আগে ভোটের দিনক্ষণ ঠিক করলে আইনি বাধায় ভোট প্রচার করতে পারবে না কোনও দলই। সুতরাং ঘুরেফিরে ফের ওই পরের গ্রীষ্মেই চলে আসছে।
অন্যদিকে অভিমত না যে করেই হোক তৃণমূল দ্রুত ভোট করে নিতে চাইবে। এই পঞ্চায়েত ভোট আসন্ন লোকসভা ভোটের সেমিফাইনাল বলা যেতে পারে। সোমবার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভা থেকে হয়তো দলনেত্রী তার আভাস দিতে পারেন। একই দলের অন্য পরিকল্পনা রয়েছে সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
অভিষেক সমস্ত প্রার্থী ঠিক করছেন বলেই খবর। তিনি চাইছেন নতুন স্বচ্ছ মুখ। অভিষেক জানিয়েছেন, আসন্ন নির্বাচনে ভোটকে কেন্দ্র করে কোনওরকম বেচাল যেন না হয়। অবাধ ও সুস্থ নির্বাচন চাইছেন তিনি। একইসঙ্গে শুরু হচ্ছে প্রধান বিরোধী দল বিজেপি শিক্ষন শিবির নিউটাউনে। এখানে বিজেপির কেন্দ্রীয় দলের প্রতিনিধিরা আসছেন এবং আসন্ন ভোট প্রক্রিয়া নিয়ে শিক্ষাদান হবে। খেলার রবিবারের পর রাজনীতির সোমবার যে ব্যস্ত থাকবে তা বলাই বাহুল্য।