Share this link via
Or copy link
প্রসূন গুপ্ত: ত্রিপুরার ভোট হয়ে গিয়েছে ১৬ ফেব্রুয়ারি, ফল ঘোষণা ২ মার্চ। সমস্ত দলের কাছেই ফল কিন্তু টেনশনের। যদিও ভোটের পর মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা থেকে বিজেপির বিভিন্ন নেতা মিডিয়ার সামনে জয় সুনিশ্চিত বলে দাবি করেছেন। এরপর ২৭ ফেব্রুয়ারি উত্তর-পূর্বের বাকি দুই রাজ্যে ভোট।
তারপর বৈদ্যুতিন সংবাদ মাধ্যমে শুরু বুথ ফেরত সমীক্ষা অর্থাৎ পরিভাষায় যাকে বলে স্যাম্পেল টেস্ট। বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে বিভিন্ন ভোটারের সঙ্গে কথা বলে এই বুথ ফেরত সমীক্ষা তৈরি হয়। যদিও বহু সময়ে এই অগ্রিম বার্তা ভুল প্রমাণিত হয়েছে, তেমনই প্রায় ঠিকও হয়েছে বহুবার। তবে এই সমীক্ষায় ভরসা রাখে না অনেকেই। তবে কী করে অগ্রিম জানা যাবে? এক্সিট পোল না করেও ধারণা যা দাঁড়ায় তাই ব্যক্ত করা হচ্ছে। প্রথমত বিপুল সংখ্যাই ভোট পোল হয়েছে। কোথাও ৯১ শতাংশ অবধি বলেই খবর, তবে শতাংশের হিসাবে ৮৭%-এর মতোই। প্রশ্ন হচ্ছে এই বিপুল ভোট কার বাক্সে যেতে পারে?
ইন্দিরা গান্ধীর সময় থেকেই ভোটবাক্সে বিপুল ভোট মানে সরকার-বিরোধী ভোট! ১৯৭৭-এ জরুরি অবস্থার পর যে ভোট হয়েছিল লোকসভায়, তা সাধারণ ভোট শতাংশের থেকে অনেক বেশি ছিল। ইন্দিরা পরাজিত হয়েছিলেন, আবার ইন্দিরার মৃত্যুর পর বিপুল যে ভোট হয়েছিল তাতে সুবিধা হয়েছিল ক্ষমতাসীন কংগ্রেসের। রাজীব গান্ধী রেকর্ড গড়েছিলেন, ৫৪৩ আসনের মধ্যে ৪১৩ আসন পেয়ে।
ফলে এই দুই ধরণের ভোটের ফল হয়েছিল। ত্রিপুরায় এই মুহূর্তে জল্পনা হচ্ছে যদি ত্রিশঙ্কু হয়? তবে কি তিপরা মোথা ফ্যাক্টর? নাকি বিপুল জনসমর্থন নিয়ে ফের আগরতলার মসনদে বিজেপি সরকার? অপেক্ষা কিন্তু ২ মার্চের। (চলবে)