২৬ এপ্রিল, ২০২৪

TMC: মহুয়া মৈত্র বেসুরো না অনুগত? করিমপুর নিয়ে তাঁর ফেসবুক পোস্ট ঘিরে জল্পনা
CN Webdesk      শেষ আপডেট: 2022-09-09 13:30:45   Share:   

প্রসূন গুপ্ত: এই মুহূর্তে সংসদে সেরা বাগ্মী সাংসদের মধ্যে অন্যতম তৃণমূলের মহুয়া মৈত্র। তাঁর এবং শশী থারুরের বক্তব্য শুনতে সরকারি দলের সাংসদের ভিড় থাকে লোকসভায়। ইংরাজিতে চোস্ত এই দুই সাংসদে যুক্তি-তক্কের জুড়ি মেলা ভার। কৃষ্ণনগরের সাংসদ উচ্চ শিক্ষিতা, বিদেশ থেকে বিশেষ পড়াশুনো এবং সর্বোপরি দিল্লির রাজনীতিতে জড়িয়ে ছিলেন অনেকদিন। এক সময়ে কংগ্রেসের বা রাহুল গান্ধীর সহযোগী ছিলেন। পরে তৃণমূলে যোগ দেন এবং ২০১৬-তে করিমপুর থেকে বিধায়ক হয়েছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীর প্রিয়পাত্রী হিসাবে তাঁর একটা বিশেষ স্থান ছিল দলে। ২০১৯-এ মাস্টারস্ট্রোক দেওয়ার মতো মমতা তাঁকে কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী করেন এবং মহুয়া জিতেও আসেন। মনে রাখতে হবে এই জয় মোটেই সহজ কাজ ছিল না, কারণ সেবার ১৮টি আসন জয় করেছিল বিজেপি এবং কৃষ্ণনগরেও ভালো জায়গায় ছিল গেরুয়া দল। কিন্তু মহুয়া তাঁর নিজস্ব পরিচিতি এবং সামাজিক অবস্থানকে ব্যবহার করে ভোটারদের কাছে বিশেষ বার্তা দিয়ে জয় ছিনিয়ে এনেছেন।

এ হেন মহুয়া অনেক সময়ে প্রেসের সামনে বা নিজের পেজে নানা মন্তব্য করে জনমানসে জনপ্রিয় হয়েছেন। কখনও আবার বিতর্কে জড়িয়েছেন। কয়েক ডজন ফ্যান ক্লাব আছে তাঁর নামে। কয়েক মাস আগে তিনি কালীপুজো নিয়ে কিছু মন্তব্য করে বিজেপির রোষানলে পড়েন। ওই সময়ে দল তাঁর পাশে দাঁড়ায়নি কারণ ধর্মের বিষয়টি অত্যন্ত স্পর্শকাতর। মহুয়া কিন্তু তাঁর মন্তব্য থেকে এক চুলও সরে যাননি।

বৃহস্পতিবার তৃণমূলের কর্মিসভা থেকে তিনি দলনেত্রীর হালকা ধমক খেয়েছেন। মমতা পরিষ্কার জানিয়েছেন, মহুয়ার প্রাক্তন বিধানসভা কেন্দ্র করিমপুর, যা কিনা নদিয়াতে হলেও লোকসভা হিসাবে আবু তাহেরের মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রে পড়ছে। অতএব মহুয়া তাঁর নিজের কেন্দ্র কৃষ্ণনগর নিয়েই যেন থাকেন। করিমপুরের দায়িত্ব আবু তাহেরের। স্বাভাবিক ভাবেই ভরা জনসভায় থতমত খেয়ে যান মহুয়া।

পরে তিনি তাঁর পেজে লেখেন, মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর আশীর্বাদেই তিনি আজ একটা জায়গা করে নিয়েছেন। অতএব তাঁর নির্দেশ মেনে চলবেন কিন্তু করিমপুরের ভোটার যেহেতু তিনি, অতএব সেখানেও তিনি থাকবেন। প্রশ্ন উঠেছে মহুয়া কি বিদ্রোহী, নাকি অভিমানী বার্তা দিলেন। মহুয়া ঘনিষ্ঠরা অবশ্য বলেছে, এটা খারাপ কি বার্তা, তিনি তো দলনেত্রীর আদেশ মেনেই তাঁর পেজে মন্তব্য করেছেন। বাকি বিষয়টি কোথায় যায় সেটাই দেখার।


Follow us on :