Share this link via
Or copy link
প্রসূন গুপ্ত: পুজো, দীপাবলি আর বিশ্বকাপ ক্রিকেট শেষ হলেই ভারতের ৫ রাজ্যের বিধানসভার ভোট (Election)। ছত্রিশগড় , মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, তেলেঙ্গানা এবং মিজোরাম। এই ৫ রাজ্যের ভোটকে অনেকেই লোকসভা ভোটের সেমিফাইনাল হিসাবে দেখছে। এই ৫ রাজ্যে সরাসরি ক্ষমতায় বিজেপি আছে শুধুমাত্র মধ্যপ্রদেশে। কাজেই তাদের লক্ষ থাকবে বাকি রাজ্যগুলির মধ্যে অন্তত ৪টি রাজ্য দখল করা। প্রশ্ন হচ্ছে, কাজটি কতটা সোজা বা কঠিন?
১০ বছর প্রায় নরেন্দ্র মোদী কেন্দ্রের ক্ষমতায়। এবারেও তিনি পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন যে তিনিই আগামীতে প্রধানমন্ত্রীর মুখ। একটি বিষয় কিন্তু বিজেপির কেন্দ্রীয় কমিটিকে ভাবাচ্ছে, তৃতীয়বারের জন্য পরপর প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন একমাত্র জহরলাল নেহেরু এবং তখন কংগ্রেসের বিকল্প দল বলতে কিছু ছিল না। আজকের পরিস্থিতি কিন্তু একেবারেই আলাদা। কাজেই মোদী নিজেও চাইছেন এই ৫ রাজ্যের ফল যেন ভালো হয়। ইদানিং 'ইন্ডিয়া' নামক জোট হয়েছে এবং যতটুকু খবর তারা এই রাজ্যগুলিতে একের বিরুদ্ধে এক প্রার্থী দেবে কাজেই হিসাব করে চলতে চাইছে বিজেপি।
নানান সূত্র মারফত যা জানা যাচ্ছে, যে প্রতিটি রাজ্যেই অনেকটাই চাপে বিজেপি। প্রথমত ছত্রিশগড়ের মানুষ বর্তমান কংগ্রেস মুখ্যমন্ত্রী ভুপেশ বাঘেলের কাজে খুবই সন্তুষ্ট। ৯০ আসনের মধ্যে কংগ্রেস আশা করছে ৭৫ আসন। অন্যদিকে বিজেপির মুখ্যমন্ত্রীর মুখ নেই। মধ্যপ্রদেশেও কংগ্রেস কমলনাথের নেতৃত্বে পোক্ত জায়গায় রয়েছে বলেই খবর। গতবারই কংগ্রেস এখানে জিতেছিল কিন্তু দল ভাঙিয়ে শেষ পর্যন্ত ক্ষমতা দখল করে বিজেপি, ফলে এলাকার মানুষের একটা ক্ষোভ আছেই। এমনটিই দেখা গিয়েছিল সম্প্রতি কর্নাটকে, বিজেপি পর্যদস্তু হয়েছিল। রাজস্থানে প্রতি ৫ বছর বাদে বাদে নতুন ঘুরিয়ে ফিরিয়ে কংগ্রেস এবং বিজেপি ক্ষমতায় আসে। এতদিন ক্ষমতায় ছিল কংগ্রেস কাজেই এবারে হিসাব মতো বিজেপির আসার পালা কিন্তু এখানেও সংকট। মোদীর অপছন্দের নেত্রী বসুন্ধরা রাজে সিন্ধিয়া, তাই পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে দল তাঁকে নিয়ে ভাবছে না।
বসুন্ধরা শোনা যাচ্ছে তাঁর নিজের ঘনিষ্টদের নির্দল করে সিংহভাগ কেন্দ্রে প্রার্থী দিচ্ছে। এরা ভোট কাটুয়া। ফলে ভোট ভাগাভাগি হলে আখেরে লাভ কংগ্রেসের। এছাড়া অশোক গেহেলথ যথেষ্ট জনপ্রিয় তিনি গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বন্ধ করতে পেরেছেন। মিজোরাম কোনও দিনও বিজেপির জমি ছিল না এবারেও হওয়ার সম্ভাবনা কম। অন্যদিকে তেলেঙ্গানায় মূল লড়াই তেলেঙ্গানা রাষ্ট্রীয়র সঙ্গে কংগ্রেসের। বিজেপি এখানে বড়োজোর কিছু আসন পেতে পারে। জনপ্রিয় প্রার্থীর অভাবে বিজেপি ১৮ সাংসদদের ফের বিধানসভার প্রার্থী করছে বিভিন্ন রাজ্যে। কাজেই কঠিন সেমিফাইনালে, দেশের ক্ষমতায় থাকা বিজেপি।