Share this link via
Or copy link
পঞ্চায়েত ভোটের আগে তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) সাংগঠনিক পর্যালোচনা বৈঠক কালীঘাটে (Kalighat Meet)। দলের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে হওয়া এই বৈঠকে একাধিক সাম্প্রতিক ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সাংগঠনিক স্তরে একাধিক রদবদল ঘোষণা হয়েছে এই বৈঠকে। শাসক দলের এই উদ্যোগকে আবার কটাক্ষের সুরে বিঁধেছে বিজেপি (BJP)। দলের মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য জানান, 'বাংলার বর্তমান সামাজিক অবস্থায় তৃণমূল কংগ্রেসের বৈঠক, তৃণমূল কংগ্রেসের পর্যবেক্ষক, মুখ্যমন্ত্রীর তিন দিন করে জেলা পরিদর্শন, এগুলো মানুষের কাছে কার্যত অর্থহীন।'
তাঁর খোঁচা, 'রাজ্যের পরিস্থিতি কী, আইনশৃঙ্খলা কোথায় দাঁড়িয়ে, সরকার পরিচালনা করতে গিয়ে তৃণমূল রাজ্যকে কোথায় নিয়ে গিয়েছে? এসব প্রশ্নের উত্তর মানুষ জানে। আর সেভাবে কারও উৎসাহ নেই। সেখানে আমরা অন্য দলের সংগঠন নিয়ে কেন ভাববো।'
শুক্রবার বীরভূমের সাংগঠনিক দায়িত্বে খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা। এদিন ঘোষণা করেছে শাসক দল। এই সাংগঠনিক রদবদলকেও খোঁচা দিয়েছে পদ্ম শিবির। বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, 'বীরভূমের প্রাকৃতিক সম্পদ লুট নিয়ে তৃণমূল তৃণমূলে গোষ্ঠী সংঘর্ষ, খুন। সব নেতা সেখানেই গিয়ে, তাঁদের কোনও কেরামতি চলেনি। অবশেষে মুখ্যমন্ত্রী দায়িত্ব নেওয়ার ঘোষণার পরেও, কেষ্টকে বীর ঘোষণা করে দেওয়ার পরেও, বীরভূম সফরের পরেও তৃণমূল নেতাদের এক ছাতার তলায় আনতে পারেননি। ভবিষ্যতেও পারবে না। কারণ ওখানে কোনও রাজনৈতিক দলের মতো তৃণমূল চলে না।'