Share this link via
Or copy link
প্রসূন গুপ্ত: স্কুলজীবন থেকেই বামপন্থার দিকে আকর্ষণ, পরে ছাত্র রাজনীতি শেষে পার্টি সদস্য হওয়া। এবং অনেক দায়িত্ব পার করে বামফ্রন্টের মন্ত্রী হয়েছিলেন আজকের মিডিয়ার প্রবল চর্চিত চরিত্র অশোক ভট্টাচার্য। অশোকবাবু বৃহস্পতিবার এই প্রতিবেদকের কাছে ক্ষিপ্তভাবে উগড়ে দিলেন সম্প্রতি তাঁর বাড়িতে বিজেপির নেতাদের আগমনের কাহিনী। কাহিনীই বটে, অশোকবাবুর স্ত্রী প্রয়াত হয়েছেন এক বছর পূর্ণ হল। দীর্ঘদিনের কমিউনিস্ট আন্দোলনের সঙ্গে তিনি যুক্ত ছিলেন। ব্যক্তিগত জীবন বলতে বাম আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত মনেপ্রাণে এক বামপন্থী মহিলাকে বিয়ে।
কোনও সন্তানাদি নেই। অবসরের সঙ্গী ছিলেন তাঁর স্ত্রী-ই। কর্তা-গিন্নির পরস্পরের প্রতি ভালোবাসা ছিল প্রবল। সেই স্ত্রী যখন হঠাৎ চলে গেলেন একেবারেই একা বাম আমলের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী। যতই রাজনীতি করুন না কেন, মনের দিক থেকে একেবারেই ভেঙে পড়েছিলেন অশোক ভট্টাচার্য। এই প্রতিবেদককে সেসব কথা অকপট ভাবে জানিয়েছিলেন প্রবীণ এই রাজনীতিবিদ।
এরপর একুশের ভোটে পরাজয় তাঁরই একদা ছায়াসঙ্গী শংকর ঘোষের কাছে। তারপর আর ভোটের রাজনীতি করতে চাননি তিনি। কিন্তু দলের নির্দেশে ফের শিলিগুড়ি পুরসভায় দাঁড়ান এবং ফের পরাজিত হন অশোক ভট্টাচার্য। এখন অশোকবাবুর সময়ে কাটে কিছুটা পার্টি অফিসে, কিছুটা বাড়িতে বই পড়ে। সেই প্রসঙ্গে অশোকবাবু জানালেন, কোনও সাচ্চা কমিউনিস্ট কোনও দিন পার্টি ছেড়ে দক্ষিণপন্থী দলের সঙ্গে সখ্যতা করে? প্রশ্ন করা হল কি এমন ঘটলো যে, মিডিয়া আপনাকে নিয়ে বিজেপির সঙ্গে একটা গল্প তৈরি করছে?
তিনি বলেন, 'বিজেপির সাংসদ রাজু বিস্ত আমার বাড়ির সামনে একজনের বাড়িতে এসেছিল। ওখান থেকেই আমাকে ফোন করে বলে হামলোগ দিওয়ালি কে লিয়ে বাধাই দেনা চাহাতা হুঁ। সৌহার্দ্যর খাতিরে তিনি, তাঁদের বাড়ি আসতে বলেন।' এরপর নাকি প্রায় ৮-১০ জন কর্মী নিয়ে এবং সঙ্গে একডজন সংবাদ মাধ্যম নিয়ে তাঁর বাড়িতে আসেন রাজু এবং শঙ্কর ঘোষ। মিনিট দশেক ছিলেন তাঁরা, এর মধ্যে ৩০ অক্টোবর এক অনুষ্ঠানের জন্য আমন্ত্রণ করেন রাজু। ব্যস ওটুকু, এরপর অশোকবাবু তাঁদের চা খাওয়ান। রাজু বিস্ত, অশোকবাবুর প্রয়াত স্ত্রীয়ের বিষয়ে নানা কথা বলেন এবং তাঁরা চলে যান। এর বেশি কিছু হয়নি, বাকি শুধু মিডিয়া এবং কুণাল ঘোষের তৈরি করা গল্প।