Share this link via
Or copy link
প্রসূন গুপ্ত: শুক্রবার কালীঘাটে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় নেত্রী অনেকগুলি কড়া বার্তা দিয়েছেন। আগামী পঞ্চায়েত বা লোকসভা নির্বাচনে যে তিনিই প্রচার বা জেলার দায়িত্ব দেখবেন তা পরোক্ষভাবে জানিয়ে দিয়েছেন। ভর্ৎসনা শুনতে হয়েছে অনেক নেতাকেই। কারা পঞ্চায়েতে টিকিট পাবেন তাও ঠিক করবেন 'দিদি'। বিভিন্ন জেলা থেকে পর্যবেক্ষক নামক পদ তুলে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই দায়িত্ব ফের বকলমে ফিরিয়ে আনলেন মমতা। দায়িত্ব পেলেন তৃণমূলের প্রবীণ নেতারাই। যেমন ববি হাকিম, অরূপ বিশ্বাস, গৌতম দেব, মলয় ঘটক প্রমুখরা। যাঁরা এর আগেও নানা জেলার পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব সামলেছেন।
অন্যদিকে কাজে মন দেওয়ার কথাও শুনতে হয়েছে নব্য তৃণমূলের সায়নী ঘোষকে। এই ব্যবস্থার ফলে দলে নতুন অল্প বয়সী কর্মীরা, যারা অভিষেককে নেতা হিসাবে কাজ করেন তারা কি কিছুটা চিন্তায়? হয়তো ভাবতে পারে ফের কি পুরাতনদের প্রতি আস্থা দিদির? কিন্তু ঘাসফুলের একটি সূত্র বলছে, বিষয়টি একেবারে তা নয়। দায়িত্বে কিছু নিশ্চয় রদবদল হয়েছে। তার অর্থ এই নয় যে অভিষেকে ভরসা নেই মমতার।
তিনি ইঙ্গিতপূর্ণ ভাবে জানিয়েছেন, নতুনরা কাজ করুন এখনই ভোট যুদ্ধে যাওয়ার দরকার নেই বলেই খবর প্রচার মাধ্যমে। মমতা চিরকাল নতুন কর্মীদের উপর আস্থা রাখেন, তিনি বিভিন্ন সভায় তা জানিয়েছেন। তিনি জানান, যে কেউ যদি মনে করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় না থাকলে কী হবে বা দল চলবে কী ভাবে? তাদের কাছে স্পষ্ট বক্তব্য, কেউই চিরকালীন নয়। ইন্দিরা-রাজীবের মৃত্যুর পর কি কংগ্রেস উঠে গিয়েছে?
অন্যদিকে আগামী ২৯ মার্চ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতায় সভা করবেন এরপর শুরু করবেন জেলা সফর। এপ্রিলের গোড়া থেকেই অভিষেকের সফর শুরু হবে। যত দূর জানা যাচ্ছে, তিনি আলিপুরদুয়ার থেকে তাঁর সফর শুরু করবেন। মনে রাখতে হবে এই জেলায় গত বিধানসভা নির্বাচনে কোনও আসন নেই তৃণমূলের। একমাত্র বিজেপি দল ভেঙে বেড়িয়ে আসা সুমন কাঞ্জিলাল ব্যতিক্রম। বার্তা কি তবে পরিষ্কার, অভিষেকই দলের সংগঠন দেখবেন।