Share this link via
Or copy link
একাধিক বেনিয়মের অভিযোগে গত কয়েকদিন ধরেও দেশব্যাপী চলছে সিবিআই (CBI) অভিযান। দিল্লিতে উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়ার বাড়ির পাশাপাশি বীরভূমে অনুব্রত মণ্ডলের এক রাইস মিলে অভিযান চালায় কেন্দ্রীয় সংস্থা। আর সিবিআইয়ের সাম্প্রতিক এই সক্রিয়তাকে কী কাজে লাগালো বাস্তবের স্পেশাল ছাব্বিশ (Special 26)? বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ সাধারণ পোশাকে হুড়মুড়িয়ে ব্যাঙ্কে (Bank Dacoity) ঢুকে পড়ে এক দল লোক। ছুটির আগের সকালে ব্যাঙ্কে তখন বেশ ভিড়। সেই লোকেরা ঢুকেই ব্যাঙ্ককর্মী এবং গ্রাহকদের বলেন, 'আপনাদের মোবাইল আমাদের কাছে এখনই জমা দিন। আমরা সিবিআই। তল্লাসি অভিযান চালানো হবে ব্যাঙ্কে।'
ধোপদুরস্ত পোশাকে আসা লোকগুলিকে দেখে, ঠিক ছবির অক্ষয় কুমারদের মতো, কোনও ভাবেই বোঝার উপায় ছিল না ওঁরা সিবিআই নয়, ছদ্মবেশী ডাকাত! ফলে কারও সন্দেহ হয়নি। আর এত দ্রুততার সঙ্গে এবং নিখুঁত ভাবে ওঁরা নিজেদের তুলে ধরেছিলেন যে কারও পক্ষেই বোঝা সম্ভব ছিল না। যেমনটা ওই স্পেশাল ছাব্বিশ ছবিতে বারবার করেছেন ছদ্মবেশী প্রতারকরা।
চটপট মোবাইল ফোন নিয়ে ডাকাতের দল ব্যাঙ্কের ভল্টের যায়। সেখান থেকে নগদ ৩০ লক্ষ টাকা এবং গয়না লুট করে। তারপর টাকা-গয়না নিয়ে সেখান থেকে দ্রুত বেরিয়ে যায় দলটি। যাওয়ার সময় ফোনগুলি ব্যাঙ্কের গেটে ফেলে রেখে যায়। আর ব্যাঙ্কের মূল গেটের শাটার নামিয়ে দেয়। যেতে যেতে কয়েক রাউন্ড গুলিও চালায় তারা।
ব্যাঙ্ককর্মী এবং গ্রাহকদের যতক্ষণে ভুল বুঝতে পারে ততক্ষণে পগারপার ডাকাতের দল। এরপরই ব্যাঙ্কে হুলস্থুল। খবর যায় স্থানীয় থানায়। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, ডাকাতরা মোটরবাইক নিয়ে পালাচ্ছে। সেই সূত্র ধরে ডাকাতদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে জামশেদপুর পুলিশ।