Share this link via
Or copy link
প্রসূন গুপ্ত: পরপর অনেকগুলি ঘটনা কিন্তু ফের কেন্দ্রীয় রাজনীতিকে জনতার কাছে আকর্ষণীয় করে তুলেছে। প্রথমত কেন্দ্রীয় এনডিএ জোট বনাম ইন্ডিয়া জোটের কে কোথায় অবস্থান করছে তা কখনও পরিষ্কার কখনও ধোঁয়াশা করে তুলেছে। সম্প্রতি এক সভায় একই মঞ্চে উপস্থিত হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বর্ষীয়ান গান্ধীবাদী নেতা শারদ পাওয়ার। লোকমান্য তিলকের নামাঙ্কিত পুরস্কারে নাকি এবারে নাম ছিল শারদ পাওয়ারের। এদিকে বিরোধী জোটের অন্যতম কারিগর এই পাওয়ারই। কিন্তু সম্প্রতি তাঁর দল এনসিপিতে ভাঙ্গন দেখা গিয়েছে। যেমন শিবসেনা ভেঙে দুটি দল হয়েছে এবং বিদ্রোহী শিন্ডে দল ভেঙে শিবসেনা (শিন্ডে) তৈরি করে বিজেপির সাথে হাত মিলিয়ে, নিজে মুখ্যমন্ত্রী হয়ে মহারাষ্ট্রের জোট সরকার তৈরি করেছে। এরপর ফের রাজনীতির ট্যুইস্ট ভাঙলো পাওয়ারের দলটিও। শারদের ভাইপো অজিত পাওয়ার দল ভাঙিয়ে, তাঁর দল নিয়ে মহারাষ্ট্রের জোট সরকারে উপ-মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। এই ডিগবাজিতে আতংকিত একদিকে পাওয়ার অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী শিন্ডেও। নিজেদের অবস্থান এবং শক্তি নিয়ে চিন্তায় দুটি দল। এরই মধ্যে মোদীর সঙ্গে একই মঞ্চে থেকে এবং তাঁর হাত থেকে পুরস্কার নিয়ে বিরোধী জোটের ব্যাডবুকে চলে গিয়েছেন।
অন্যদিকে গতকাল সুপ্রিম কোর্টের বিচারে চলে যাওয়া সাংসদ পদ ফিরে পেতে চলেছেন রাহুল গান্ধী। ভোটের প্রচার করতে গিয়ে রাহুল নাকি "সব মোদী একই রকম" গোত্রীয় ভাষণ দিয়েছিলেন। এই বক্তব্যকে চ্যালেঞ্জ করে কোনও এক মোদী গুজরাটের একটি আদালতে রাহুলের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেন। বিচারপতি আদেশ দেন যে, রাহুলের সাংসদ পদ খারিজ হবে এবং দুই বছর অবধি জেল হতে পারে। ওই আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে রাহুলের পক্ষ থেকে সুপ্রিম করতে যায় কংগ্রেস। শুক্রবার গুজরাটের আদেশকে স্থগিতাদেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। এরপরেই উলহাস শুরু হয় কংগ্রেস এবং ইন্ডিয়া জোটে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, রাহুলকে অভিনন্দিত করেন আবার খুশির বার্তা জানান পাওয়ার কন্যা সুপ্রিয়া সুলে।
অন্যদিকে দিল্লির প্রশাসন নিয়ে কেজরিওয়ালকে সমর্থন জানায় কংগ্রেস আবার মোদীর জোটে নতুন মুখ হিসাবে আসতে চাইছে অন্ধ্রের চন্দ্রবাবু নাইডু। কাজেই বোঝাই দায়, কে কোথায়!