১৩ মে, ২০২৪

BJP: দল ভেঙে বিজেপিতে
CN Webdesk      শেষ আপডেট: 2024-02-19 14:57:14   Share:   

প্রসূন গুপ্তঃ লোকসভা নির্বাচনের আর মাস দুয়েকও নেই। কিন্তু ২০১৯-এর বিজেপি তথা এনডিএর বিশাল জয় এবং একই সাথে ইন্ডিয়া জোটের হতশ্রী অবস্থা দেখে বিভিন্ন দল থেকে সাংসদ-বিধায়ক এবং কাউন্সিলররা বিজেপিতে যেতে চাইছে। যাচ্ছেও বটে। একটা সময়ে এই বিজেপি দল ছিল ভারতীয় জনসঙ্ঘ। মূলত আরএসএস করা কর্মী এবং প্রচারকরা জনসঙ্ঘতে আসতো। এটিই দস্তুর ছিল। পরে ১৯৭৭-এ ইন্দিরা গান্ধীর জরুরি অবস্থার পরে গোটা দলটাই নব নির্মিত জনতা পার্টিতে যোগ দেয়। জনতা পার্টি ভেঙে যায় '৭৯ তেই। তৈরি হয় ভারতীয় জনতা পার্টি। তখন পুরাতন জনসঙ্ঘ ছাড়াও অনেকেই এই দলে যোগ দিয়েছিলেন, কিন্তু শেষ পর্যন্ত ওই সঙ্ঘ পরিবারের হাতেই অনেকটা নিয়মাবলী ছিল।

১৯৯৮-তে প্রথম বিজেপির নেতৃত্বে ভারতের ক্ষমতায় আসে এক নতুন জোট নাম এনডিএ। ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক এলায়েন্স। এই জোটে বহু দলের সমন্বয় ছিল। এখানে যেমন সোশ্যালিস্ট পার্টির একটি অংশ ছিল তেমনিই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গান্ধীবাদী কংগ্রেস মনোভাবাপন্ন দলও ছিল। সময় পাল্টেছে ফের গত ১০ বছর ক্ষমতায় সেই এনডিএ। তবে তা নামমাত্র। আসলে বিজেপি একাই একক শক্তি নিয়ে ক্ষমতায়। একটু ভুল হলো, আসলে এটি মোদী সরকার। এখানে প্রবল প্রতাপান্বিত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সঙ্গে অমিত শাহ। প্রশাসন মোদীর হাতে সংগঠন শাহের কব্জায়। ইতিমধ্যে রাজ্যে রাজ্যে ভোট হয়েছে বহুবার। সব জায়গাতেই বিজেপি জিতেছে এমন নয় কিন্তু যেখানেই যে দল জিতুক না কেন লোকসভা ভোট এলেই ফের মোদী।

ব্যতিক্রম নয় এবারেও। কিন্তু ভোট যত এগিয়ে আসছে তত বিভিন্ন দল ভেঙে ঝাঁকে ঝাঁকে নেতারা বিজেপিতে যোগ দিচ্ছে। বিরোধীরা বলছে যে, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা এজেন্সির চাপে নাকি এই বদল কিন্তু অন্য বিষয়ও আছে। কংগ্রেস বা অন্য বিরোধীরা বুঝেছে বিজেপিকে হারিয়ে ক্ষমতায় আসা অসম্ভব না হলেও কঠিন কাজেই ক্ষমতার অলিন্দে থাকতে গেলে বিজেপিতে যাওয়া দরকার।

বিজেপি তাদের দলে নিচ্ছেও কিন্তু এই ভাবে বিভিন্ন মতবাদের মানুষ নিয়ে বৃহৎ দল তৈরি করলে বিপদও আছে। একটা সময় আসবে যখন নানা মুনির নানা মতে দলে ভাঙন লাগতে পারে। যা হয়েছিল ১৯৭৭ বা ১৯৮৯ এ। এতো দলের মধ্যেই উপদল হয়ে যাবে। শাহের মাথায় আছে কি তা?


Follow us on :