Share this link via
Or copy link
অযোধ্যায় নতুন যুগের সূচনা। ঐতিহাসিক মুহূর্তে প্রাণ প্রতিষ্ঠা হল রাম মন্দিরের রামলালার বিগ্রহে। অভিজিৎ মুহূর্তে ৮৪ সেকেন্ডের মধ্যে রামলালার মূর্তিতে বৈদিক মন্ত্রোচ্চারণের মধ্য দিয়ে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সঙ্গে ছিলেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত। দ্বাদশীর দিনে শুভক্ষণে রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা করেন তিনি। গোটা দেশ সাক্ষী থাকল সেই মাহেন্দ্রক্ষণের।
একেবারে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে চলেছে প্রত্যেকটা অনুষ্ঠান। অযোধ্যার মন্দিরে পা রাখার আগে প্রধানমন্ত্রী রামজন্মভূমি চত্বর প্রদক্ষিণ করেন। সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে তিনি পৌঁছে গিয়েছিলেন অযোধ্যায়। তারপরে একে একে সব অনুষ্ঠান নিপুণভাবে সম্পন্ন করেছেন। গর্ভগৃহে পায়ে হেঁটে প্রবেশ করেন। হাতে ছিল একটি রুপোর চাঁদোয়া।
তারপরে মন্দিরের ভিতরে মোহন ভাগবতকে সঙ্গে নিয়ে পুজোয় বসেন তিনি। চক্ষুদানের সংকল্প করেন প্রধানমন্ত্রী। তারপরে পদ্মফুল দিয়ে রামলালার পায়ে পুস্পার্ঘ দেন তিনি। সেসময় হেলিকপ্টারে করে রাম মন্দিরের উপরে পুষ্পবৃষ্টি করা হয়। অযোধ্যায় রামলালা বালক বেশে পুজিত হবেন। শঙ্খ-ঘণ্টাধ্বনিতে মুখরিত অযোধ্যা। একেবারে ঘড়ির কাঁটা ধরে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা হয়।
পদ্মফুল দিয়ে পুস্পাঞ্জলি দেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তাঁর সঙ্গে পুস্পাঞ্জলি দেন মোহন ভাগবত, উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এবং রাজ্য়পাল আনন্দীবেন পটেল। বৈদিক মন্ত্রোচ্চারণের মধ্যে প্রাণ প্রতিষ্ঠা হয় রাম লালার বিগ্রহে। সেই সঙ্গে মন্দিরের বাইরে রামনাম হচ্ছিল। সঙ্গে ভজন গাওয়াও চলছিল। পুস্পাঞ্জিলর পর কর্পুরের আরতি করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তারপরে পঞ্চ প্রদীপে রামলালার আরতি করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। কাঁসর ঘণ্টা সহযোগে রামলালার আরতি করেন তিনি।