CN Webdesk
শেষ আপডেট: 2023-12-20 18:42:54 Share:
প্রসূন গুপ্ত: 'ইন্ডিয়া' জোটের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের পরদিন অর্থাৎ আজ ২০ ডিসেম্বর সকালেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈঠক হলো। তবে অন্যবারের মতো দীর্ঘ আলোচনা ছিল না। কোনও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অবশ্যই দেশের প্রধানমন্ত্রীর সাথে বৈঠক করতেই পারেন। অঙ্গ রাজ্য হিসাবে মমতা যেমন পারেন বলতে তেমনই দেশ হিসাবে প্রধানমন্ত্রী শুনতেই পারেন। যদিও এই বৈঠকের আগে সিপিএমের মুখপাত্রে নানান ব্যঙ্গ করে ছবি এবং বক্তব্য রাখা হয়েছিল। এমন বলা হয়েছিল যে , আগের দিনের বিরোধী জোটের সমস্ত কথা মমতা, মোদীর কাছে জানিয়ে দেবেন। সিপিএমের নেতারা ক্রমাগত চূড়ান্ত সমালোচনা করেছিলেন দুই প্রধানের। সুজন চক্রবর্তী জানিয়েছিলেন যে , তাঁরা নাকি বারম্বার বলেছেন, মমতা আসলে মোদীর এজেন্ট। অবিশ্যি শুধু সিপিএমের মুখপাত্ররাই নন। তাদের বিভিন্ন সোশ্যাল নেটওয়ার্কে কোথাও বলা হয়েছে , অভিষেককে কেন্দ্রীয় এজেন্সির হাত থেকে বাঁচাতেই নাকি এই বৈঠক। আবার কোথাও বলা হয়েছে রাজ্যে ক্রমাগত ইডি / সিবিআইয়ের হাত থেকে বাঁচতেই এই বৈঠক। যদিও এই বৈঠকের বিষয়ে বিরোধী দলগুলির সকলেই অবগত ছিলেন এবং বৈঠক একান্তই প্রশাসনিক তাও রাহুল গান্ধীরা জানতেন কাজেই এই নিয়ে দিল্লিতে অন্তত কোনও বিতর্ক হয় নি। তবে এটাও বাস্তব যে , কোনও বিশেষ আলোচনা যদি মুখ্যমন্ত্রীর থাকতো তবে বিগত দিনের মতো একান্ত সাক্ষাৎকার করতেন তিনি।সিপিএমের ধারণাকে এক প্রকার নস্যাৎ করে ১১ জন দলীয় সাংসদকে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী , প্রধানমন্ত্রীর দরবারে যান। এই ১১ জনের মধ্যে লোকসভা ও রাজ্যসভার সদস্যরা ছিলেন। মহুয়া বা সংসদে 'ধোঁয়া' বিষয়ে কোনও আলোচনা হয় নি। ১০০ দিনের কাজ এবং আনুসাঙ্গিক পাওনা নিয়েই আলোচনা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে সকলকে কুশল বিনিময় করেন। শোনা গিয়েছে আলাদা করে অভিষেকের চোখের সমস্যা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছে যে , কেন্দ্র ও রাজ্য সমন্বয়ে একটি কমিটি গড়ে এই টাকা প্রাপ্তির বিষয়টি আলোচনা হবে। প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত নেতাদের চা পানে আহ্ববান করেন। তবে মাত্র ১৫ থেকে ২০ মিনিট আলোচনা হয়েছে। যদিও এই সময়টুকুই এই বিষয়ের পক্ষে যথেষ্ট।
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ)
Follow us on :