Share this link via
Or copy link
সম্প্রতি শ্রদ্ধা ওয়ালকার (Shraddha Walkar) খুনের সূত্র ধরে পূর্ব দিল্লির (East Delhi Murder) আরও এক হত্যাকাণ্ডের পর্দা ফাঁস হয়েছে। এই ঘটনায় গৃহকর্তা অঞ্জন দাসের খণ্ডিত দেহাংশ দিল্লির একাধিক জায়গা থেকে উদ্ধার করেছিল পুলিস। শ্রদ্ধার মতোই অঞ্জনের দেহ খণ্ড করে ফ্রিজে সংরক্ষণ করেছিলেন অভিযুক্ত মা-ছেলে। এই ঘটনায় প্রতিফলিত হয়েছে বাংলার বারুইপুর-কাণ্ডের (Baruipur Murder Case) ছায়া। এখানেও গৃহকর্তা প্রাক্তন নৌ সেনা কর্মীকে খুন করে খণ্ডিত দেহ এলাকার একাধিক পানাপুকুর, জঙ্গল, ঝোপে ছড়িয়ে দিয়েছিল মা-ছেলে। নেপথ্যে ছিল দৈনিক গৃহ হিংসা এবং বিবাদ। একই ঘটনা অঞ্জন দাস হত্যাকাণ্ডে, প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছে দিল্লি পুলিস।
সৎবাবাকে অঞ্জন দাসকে খুন করে দেহ ১০ টুকরো করার অভিযোগে সোমবারই গ্রেফতার হয়েছিলেন দিল্লির বাসিন্দা দীপক দাস এবং তাঁর মা পুনম দাস। এই হাড়হিম করা হত্যা রহস্যের তদন্তে নেমে একটি একটি সিসিটিভি ফুটেজ পেয়েছে পুলিস। সেই ফুটেজে দেখা গিয়েছে, দিল্লির এক মাঠে প্লাস্টিক ব্যাগ নিয়ে দাঁড়িয়ে দীপক, কিছুক্ষণ পর ব্যাগটি মাঠ থেকে তুলে নিয়ে আবার হাঁটতে শুরু করেন তিনি। সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়া এই দৃশ্য দেখে সন্দেহ হয় পুলিসের। তদন্তে নেমে জানা গিয়েছে, ওই মাঠে সৎবাবার কাটা মাথা পুঁতে দিতে এসেছিলেন দীপক।
চলতি বছর জুনে মা পুনমের কথায় সৎবাবা অঞ্জনকে খুন করেন দীপক। পূর্ব দিল্লির পাণ্ডব নগরের বাসিন্দা পুনমের দাবি, তাঁর স্বামী বিনা অনুমতিতে গয়না বিক্রি করে দিয়ে সেই টাকা তাঁর প্রথম স্ত্রীকে পাঠাতেন। বিহারে আট ছেলেমেয়ে নিয়ে সংসার অঞ্জনের প্রথম স্ত্রীর। তাঁদের সংসার চালানোর টাকা দিতে অঞ্জন গয়না বিক্রি করেছিলেন।
এই ঘটনা জানতে পেরে স্বামীর উপর ক্ষেপে যান পুনম। ছেলে দীপকের সঙ্গে যোগসাজশ করে অঞ্জনকে খুন করেন তিনি। পুলিস সূত্রের খবর, অঞ্জনকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে গলায় কুঠার দিয়ে কোপ মেরে খুন করা হয়। সারা রাত ধরে মৃতদেহ থেকে রক্ত বের হয়ে যাওয়ার পরদিন একটি ধারালো অস্ত্র দিয়ে অঞ্জনের দেহ ১০ টুকরো করে পলিথিনের ব্যাগে ভরে ফ্রিজে রেখে দেন পুনম-দীপক। ধারালো অস্ত্রটির খোঁজ মিললেও ছুরিটি এখনও মেলেনি। তারপর সেই টুকরোগুলি দিল্লির বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে দিয়ে আসতেন দীপক। তল্লাশি চালিয়ে দেহের ৬টি টুকরো খুঁজে পেয়েছে পুলিস।