Share this link via
Or copy link
যখন লেখায় যাচ্ছি তখন অন্তত কংগ্রেস (Congress) ১৩০ + আসনে (Seat) এগিয়ে কাজেই অসম্ভব কিছু না ঘটলে তারাই যে সরকার (Goverment) গড়তে চলেছে তাতে আর সন্দেহের কিছু নেই। আমরা রাজ্য বা রাজ্যের কাজে ব্যস্ত থাকলেও প্রায় প্রতিদিন মিডিয়ার বা সোশ্যাল নেটের পোর্টালগুলির উপর নজর রাখতাম। বুঝতেই পারছিলাম বিজেপির জমি খারাপ হচ্ছে। হবেই বা না কেন, যে ভঙ্গিতে তারা ২০১৮ র ভোটে জনবার্তা না মেনে প্রায় জবরদস্তি ঘোড়া কেনা বেঁচা করে কর্ণাটক দখল করেছিল তা মোটেই ওই রাজ্যের মানুষ ভালো ভাবে নেয় নি। এই সংস্কৃতিটা বিজেপির আমলে যে ভাবে মাথাচারা উঠেছিল তা মোটেই দেশের পক্ষে স্বাস্থ্যকর নয়। একেবারে একের পর এক রাজ্যে ক্ষমতায় না এসেও নানান চাপ দিয়ে সরকার দখল করেছিল বিজেপি তা নিঃসন্দেহে অভূতপূর্ব। গোয়া, উত্তর পূর্বের রাজ্যগুলি, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র এবং অবশ্যই কর্নাটকে ঘোড়া কেনাবেঁচা করেছিল তার পরিষ্কার জবাব আজ কানাড়ি জনতা দিয়ে দিয়েছে এবং এতটাই ফারাক যে এবারে পুরোনো ফর্মুলা আর চলবে না।
আমি মনেকরি লোকসভা নির্বাচনের আগে এটা বিজেপির কাছে মস্ত ধাক্কা। আমাদের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী বলেইছিলেন যে তিনি চান সর্বত্র বিজেপি হারুক। আজ অবশ্য আমার ব্যক্তিগত রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা থেকে প্রতিবেদনটি লিখছি। শুধু ধর্ম নিয়ে ভোট যেটা যায় না। প্রধানমন্ত্রী সেই চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছিলেন প্রচারে। এটা বাস্তব কর্নাটকেও উচ্চবর্ণ বা নিম্নবর্ণের রাজনীতি আছে। কিন্তু দেশের সরকারের বোঝা উচিত উন্নয়ন, খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান নিয়ে দেশের মানুষ চরম সংকটে রয়েছে। করোনাকাল গেলে দেশের অর্থনৈতিক সংকট যা দেখা গিয়েছিল তার কোনও সমাধান তো কেন্দ্র করতে পরেই নি উপরোন্ত দ্রব্যমূল্যের দাম আকাশ ছোঁয়া। মানুষ খাবে নাকি জাতপাত ধর্ম নিয়ে মাথা ঘামাবে। এর জবাব আগামী লোকসভা নির্বাচনে মোদী আরও বুঝতে পারবেন। কর্নাটকে যে পরিমান দুর্নীতি হয়েছে এবং তা কেন্দ্রীয় সরকার তা আমলই দেন নি, আজকের ভোটের ফলে তার প্রতিচ্ছবি পড়েছে। একটা সিনেমা দিয়ে কি আর ক্ষমতায় আসা যায়? যাই হোক জনতার রায় মাথায় রেখে বিরোধী আসনে মেনে নেওয়াই বাঞ্চনীয়।
(অনুলিখন : প্রসূন গুপ্ত)