১০ মে, ২০২৪

Railway: অসংক্ষরিত টিকিটের ক্ষেত্রে পরিচয় পত্রের ব্যবস্থা থাকলে মৃতের পরিবার হয়ত টাকাটা পেত!
CN Webdesk      শেষ আপডেট: 2023-06-04 13:41:09   Share:   

মণি ভট্টাচার্য: ভাগের মা কি গঙ্গা পায়! প্রাচীন এই প্রবাদ সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভীষণ সামঞ্জস্যপূর্ণ। কিন্তু করমণ্ডল এক্সপ্রেসের (Coromondeal Express) ক্ষেত্রে মৃত যাত্রীদের নিয়ে এই প্রবাদ যে ভীষণ সামঞ্জস্যপূর্ণ তা বলাই যায়। ওড়িশা সরকার (Odisha Goverment) ও রেল (Railway) তরফে পাওয়া সূত্র অনুযায়ী, এখনও অবধি করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা ২৭৫। আহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১০০০ জন। ইতিমধ্যেই রেল মন্ত্রকের তরফে মৃতদের উদ্দেশে ১০ লক্ষ টাকা, গুরুতর আহতদের ক্ষেত্রে ২ লক্ষ টাকা ও সামান্য আহতদের ক্ষেত্রে ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছে। কিন্তু আপাত পক্ষে এ প্রসঙ্গে উঠছে বিভিন্ন প্রশ্ন, উঠছে গাফিলতির অভিযোগ। প্রশ্ন উঠছে ক্ষতিপূরণের (Compensation) এই টাকা কতজন পাবেন? এই টাকা কি সব মৃতের পরিবার পাবেন?

এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে কিছুটা স্পষ্ট হয়েছে যে এই ক্ষতিপূরণের টাকা কিন্তু সব মৃতের পরিবার পাচ্ছেন না। দক্ষিণ-পূর্ব রেলের এক উচ্চ আধিকারিকের মতে, করমণ্ডল এক্সপ্রেসের সামনের কামরা গুলো বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, অর্থাৎ অসংক্ষরিত কামরা গুলি ও সংরক্ষিত বিভাগের স্লিপার ক্লাসের কামরা গুলি। রেলের ওই আধিকারিকের মতে, করমণ্ডল এক্সপ্রেসের অসংরক্ষিত কামরা গুলির যাত্রীদের মৃত্যুই বেশি হয়েছে।' রেল সূত্রেই খবর, এখনও ১৬০ জনের মৃতদেহ সনাক্ত করা যায়নি। এ বিষয়ে খড়্গপুর ডিভিশনের এক উচ্চ বিভাগের আধিকারিক জানাচ্ছেন, 'যাঁরা রিজার্ভড অর্থাৎ সংরক্ষিত বিভাগের যাত্রী, তাঁদেরকে সহজেই সনাক্ত করা সম্ভব। রেল তরফে তাঁদের আর্থিক সাহায্য সহজেই মিলবে।' কিন্তু প্রশ্ন উঠছে যারা অসংক্ষরিত বিভাগের যাত্রী তাঁরা কি রেলের আর্থিক সাহায্য পাবেন? এ প্রশ্নের সদুত্তর দিতে পারেননি কেউই। এ প্রশ্নের উত্তর জানতে চেয়ে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার অর্চনা জোশির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, তিনি জানান অসংক্ষরক্ষিতদের ক্ষেত্রে কি হবে জানা নেই, তবে যা হবে তা রেলের পলিসি মেনেই হবে।' যদিও প্রাথমিক ভাবে এই দুর্ঘটনায় আহতদের টাকা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে রেল কর্তৃপক্ষ এমনটাই দাবি খড়্গপুর ডিভিশনের অতিরিক্ত কমার্শিয়াল ম্যানেজার আশুতোষ সিং।

অসংক্ষরক্ষিত কামরার মৃত যাত্রীরা রেলের ক্ষতিপূরণ পাবে কিনা সেটা স্পষ্ট করে বলতে পারেননি কেউই। কিন্তু এ ঘটনার পর রেলের ভূমিকা ও কেন্দ্র সকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। প্রশ্ন উঠছে যেখানে গোটা দেশ ডিজিটাল হচ্ছে, ডিজিটালাইজেশনের প্রচার হচ্ছে জোর কদমে। তবে কেন দূরপাল্লার ট্রেন গুলিতে অসংক্ষরক্ষিত টিকিট কাটার ক্ষেত্রে পরিচয় পত্রের ব্যবহার থাকবে না? যেমন সংরক্ষিত টিকিটের যাত্রীদের তথ্য রাখছে রেল, তেমন কেন অসংক্ষরিত টিকিটের যাত্রীদের কোনও তথ্য রাখছে না রেল? স্বাভাবিক ভাবেই রেলের এই গাফিলতির দিকে আঙ্গুল তুলতে শুরু করেছেন অনেকেই।


Follow us on :