Share this link via
Or copy link
অব্যর্থ বুদ্ধিতে খুন করে পার পেয়েছিলেন এক ব্যক্তি। তিন দশক পুলিসের নাকের ডগার নিচে ঘুরে বেরিয়েছিলেন, অথচ অধরা রয়ে গিয়েছিলেন। কাক-পক্ষীতেও তার কুবুদ্ধির কথা টের পায়নি। তবে নিজেই নিজের কুকীর্তির হাঁড়ি ভেঙেছেন। পেটে মদ পড়তেই মানুষ হিতাহিত জ্ঞান ভুলে যান, তখন মুখে ফোটে অনর্গল বাক্য। যে মদে (Drunk) নিজেকে নেশায় ডুবিয়েছিলেন, সেই মদই এবার জেলের ঘানি টানাতে চলেছে এই ব্যক্তিকে।
সাল তখন ১৯৯৩, অন্যান্য সঙ্গীদের সঙ্গে লোনাভালার এক বৃদ্ধ দম্পতির বাড়িতে ডাকাতি করতে গিয়েছিলেন অবিনাশ পাওয়ার। শুধুমাত্র ডাকাতিই করেননি বৃদ্ধ সম্পত্তিকে খুনও করেছিলেন। বাকি সঙ্গীরা পুলিসের জালে ধরা পড়লেও দিল্লি থেকে পালিয়ে যায় অবিনাশ। এরপর মহারাষ্ট্রের ঔরঙ্গাবাদে পালিয়ে গিয়ে অমিত পাওয়ার নাম একটি ড্রাইভিং লাইসেন্স বের করতে সক্ষম হন অবিনাশ। অবিনাশের নতুন পরিচয় হয় অমিত পাওয়ার। এরপর মুম্বইয়ের ভিকরোলিতে স্থায়ী বসবাস জমান তিনি।
জাল নামেই নিজের আধার কার্ড তৈরি করতে সক্ষম হন অবিনাশ। এমনকি ওই নাম ভাঙিয়েই বিয়ে করেন। তাঁর স্ত্রী বর্তমানে সফল রাজনৈতিকভাবে সফল ব্যক্তিত্ব। ৩০ বছর অতিক্রম হয়ে গিয়েছে। অবিনাশের বয়স বর্তমানে ৪৯ বছর। এতগুলো বছরে অবিনাশ কোনওদিনও তার মা-কে দেখতে লোনাভালা যাননি। কিছুদিন আগে এক ব্যক্তির সঙ্গে সঙ্গে মদ খেতে বসে অতীতের সব কথা স্বীকার করেনা অবিনাশ। ওই ব্যক্তি সেই স্বীকারোক্তি রেকর্ড করে মুম্বই ক্রাইম শাখায় জানান। তারপরেই অবিনাশকে পাকড়াও করে পুলিস।