Share this link via
Or copy link
আশঙ্কা ছিলই। দীপাবলির আগে ফের দূষণের কালো চাদরে ঢাকল রাজধানী দিল্লি (Delhi)। শুক্রবার কার্যত অন্ধাকারেই ঘুম ভাঙল দিল্লিবাসীর (Delhi Pollution)। দূষণ কমাতে বিএস থ্রি মডেলের পেট্রোল গাড়ি এবং বিএস ফোর মডেলের ডিজেল গাড়ি অনির্দিষ্টকালের জন্য ব্যান করা হলো দিল্লি সরকার। আর এই নির্দেশিকা না মানলে ২০ হাজার টাকা জরিমানা ঘোষণা করেছে দিল্লি ট্রাফিক পুলিস। পরবর্তী নির্দেশিকা না আসা পর্যন্ত এই নিয়ম কার্যকর থাকবে। এছাড়াও দূষণের জেরে অরবিন্দ কেজরিওয়াল সরকার দুই দিনের জন্য সমস্ত স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে। বৃহস্পতিবার টুইটারে এই ঘোষণা করেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল টুইটে জানিয়েছেন, "ক্রমবর্ধমান দূষণের মাত্রা বৃদ্ধির কারণে দিল্লির সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আগামী ২ দিনের জন্য বন্ধ থাকবে।" বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে অ-প্রয়োজনীয় সমস্ত নির্মাণ কার্যও। বিশেষ করে গৌতম বুধ নগর, গাজিয়াবাদ, ফরিদাবাদ এবং গুরুগ্রাম শহরের উপর জোর দেওয়া হয়েছে। এই শহরগুলিতে ডিজেল ট্রাকের প্রবেশও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
প্রতিবেশী গুরুগ্রামও দূষণ মোকাবিলায় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। গুরুগ্রাম জেলা ম্যাজিস্ট্রেট একটি আইনের অধীনে আবর্জনা, পাতা, প্লাস্টিক এবং রাবারের মতো বর্জ্য পদার্থ পোড়ানো নিষিদ্ধ করেছে। এই আইন যাঁরা লঙ্ঘন করলে তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে গণ্য হবে বলে জানানো হয়েছে নির্দেশিকায়।
দিল্লি ও এনসিআর এলাকায় প্রতি ঘনমিটার বাতাসে ধূলিকণার পরিমাণ ২.৫-র বেশি বলে জানা গিয়েছে। যা স্বাভাবিক অবস্থার চেয়ে সাত থেকে আট গুণ বেশি। এই পরিস্থতিতে দিল্লির পরিবেশ মন্ত্রী গোপাল রাই গ্রেডেড রেসপন্স অ্যাকশন প্ল্যানের তৃতীয় ধাপের বাস্তবায়ন নিয়ে আলোচনা করতে শুক্রবার একটি বৈঠক ডেকেছেন। তিনি বলেন, "GRAP-এর তৃতীয় ধাপের কার্যকরী বাস্তবায়ন নিয়ে আলোচনা করার জন্য শুক্রবার দুপুর ১২ টায় সমস্ত সংশ্লিষ্ট বিভাগের একটি সভা ডাকা হয়েছে।"
উল্লেখ্য, বিষ বাতাসে ভরে গিয়েছে দিল্লি। বৃহস্পতিবার দিল্লির বাতাসের গুণমান ছিল ৪০২। বাতাসের গুণমান ২০১ থেকে ৩০০-র মধ্যে থাকলে তাকে ক্ষতিকর বলে ধরা হয়। ৩০১ থেকে ৪০০-র মধ্যে বাতাসের গুণমান থাকলে তা অত্যন্ত ক্ষতিকর এবং ৪০১ থেকে ৫০০-র মধ্যে থাকলে পরিস্থিতি গুরুতর বলে ধরা হয়।