Share this link via
Or copy link
রবিবার ফের একবার রাজ্যে অনুষ্ঠিত হল প্রাথমিক টেট। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সূত্রে খবর, এবারের প্রাথমিক টেটে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৩ লক্ষ ৯ হাজার ৫৪ জন। পরীক্ষা হয়েছে মোট ৭৭৩টি কেন্দ্রে। এরমধ্যে শহর কলকাতার পাঁচটি কেন্দ্রে চলল টেট পরীক্ষা। তার মধ্যে রয়েছে- চেতলা গার্লস, বাগবাজার মাল্টিপারপাস, শিয়ালদহ টাকি বয়েজ, যাদবপুর বিদ্যাপীঠ এবং দমদমের কুমার আশুতোষ ইনস্টিটিউশন। দুপুর ১২টা থেকে ২:৩০ পর্যন্ত সময় নির্ধারিত ছিল পরীক্ষার জন্য। কিন্তু বেশ কিছু কেন্দ্রে পরীক্ষা হলে ঢুকতে বাধার সম্মুখীন হন পরীক্ষার্থীরা। এমনকি অ্যাডমিট কার্ডে প্রবেশের শেষ সময়সীমা উল্লেখ না থাকায় কিছুটা বিভ্রান্তির মুখেও পড়তে হয় টেট পরীক্ষার্থীদের। যদিও পরবর্তীতে সিএনের খবরের জেরে পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশ করেন পরীক্ষার্থীরা।
রবিবারের প্রাথমিক টেট নিয়ে যথেষ্ট কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছিল পরীক্ষাকেন্দ্রগুলিতে। এদিন সরেজমিনে সমস্ত দিক খতিয়ে দেখতে টেট পরীক্ষা কেন্দ্র সল্টলেকের এর ভগবতী দেবী বালিকা বিদ্যালয় পরিদর্শন করলেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল। পাশাপশি প্রতিটি পরীক্ষাকেন্দ্রের নিরাপত্তার বিষয়গুলো খুঁটিয়ে দেখা হয়েছে বলে জানালেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন ডেপুটি সেক্রেটারি পার্থ কর্মকার।
গত ২০২২ ডিসেম্বরেও হয়েছিল প্রাথমিক টেট পরীক্ষা। যদিও সেই নিয়োগ প্রক্রিয়া এখনো সম্পন্ন হয়নি। পাশাপাশি শহরের বুকে দীর্ঘদিন ধরে নিয়োগের দাবিতে আন্দোলন করছেন চাকরিপ্রার্থীরা। নিয়োগ না হলেও ২০২৩-এও ফের একবার সম্পন্ন হল প্রাথমিক টেট। পরীক্ষার্থীরা জানাচ্ছেন, চাকরি না হলেও আপাতত এক বুক আশা নিয়েই পরীক্ষা দিতে এসেছেন তাঁরা।
এমনকি রবিবার রীতিমত নিরাশ হয়ে এক পরীক্ষার্থীর অভিভাবকও জানালেন তাঁরা কোনওরকম নিয়োগের আশা রাখছেন না এই টেট পরীক্ষা থেকেও। ২৪ ডিসেম্বর রাজ্যে ফের একবার প্রাথমিক টেট হলেও নিয়োগ কবে হবে জানেন না কেউই। এখনও পর্যন্ত শহরের বুকে নিয়োগের দাবিতে অবস্থান বিক্ষোভ করছেন চাকরিপ্রার্থীরা।এমনকি গত ২০২২ টেটের নিয়োগ অবধি এখনও হয়নি। তার মধ্যেই ফের একবার টেট সম্পন্ন হল রবিবার। আর এই নিয়েই প্রশ্নের মুখে থেকে যাচ্ছে মধ্যে শিক্ষা পর্ষদ সহ প্রশাসনের ভূমিকা। একবুক আশা নিয়েই যে ৩ লক্ষ পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিলেন আদৌ কি তাঁরা কখনও নিয়োগপত্র পাবেন? না কি তাঁদেরও ভবিষৎ রাজপথের আন্দোলনে কেটে যাবে ? প্রশ্ন কিন্তু থেকেই যাচ্ছে।