১০ মে, ২০২৪

DA Agitation: ডিএ-এর দাবিতে টানা ১৪০ ঘণ্টার বেশি অনশন করায় অসুস্থ এক আন্দোলনকারী
CN Webdesk      শেষ আপডেট: 2024-01-26 18:01:24   Share:   

৩৬৫ তম দিনে পড়ল সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের নাছোড় আন্দোলন। এছাড়াও হকের মহার্ঘ্য ভাতার দাবিতে এই আন্দোলনে টানা ১৪০ ঘন্টার বেশি সময় ধরে অনশনে রয়েছেন ৪ আন্দোলনকারী। সুরাহা না মেলায় ২৯ জানুয়ারি থেকে লাগাতার ধর্মঘটের ডাক সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের। টানা ১৪০ ঘন্টার বেশি সময় ধরে অনশনে রয়েছেন ৪ আন্দোলনকারী। আর এদের মধ্যেই একজন অসুস্থ হয়ে পড়লেন। তাঁকে এনআরএস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

হকের বকেয়া মহার্ঘ্য ভাতার দাবিতে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আন্দোলন পড়ল ৩৬৫ তম দিনে। অর্থাৎ একদিকে যেমন তাঁদের ধরনার ১ বছর অতিক্রান্ত। অন্যদিকে টানা ১৪০ ঘন্টার বেশি সময় ধরে অনশনে রয়েছেন ৪ আন্দোলনকারী। ক্রমশই ৪ অনশনকারীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে। তাঁদের মধ্যে একজন অবসর প্রাপ্ত সরকারি কর্মী অনিরুদ্ধ ভট্টাচার্য (৬৪) অসুস্থ হয়ে পড়লেন। তাঁর শরীরে কিটোন বডি পজিটিভ আসে।শরীর খারাপ হয়ে যাওয়ায় এনআরএস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

শহীদ মিনারের পাদদেশে, বকেয়া মহার্ঘ্য ভাতাসহ স্বচ্ছ নিয়োগ এবং অস্থায়ীদের স্থায়ীকরণের দাবিতে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের লাগাতার ধরনা, অবস্থান বিক্ষোভ, আন্দোলনেও টনক নড়েনি রাজ্য সরকারের। বরং উল্টো চিত্রই দেখা গিয়েছে। বহুবার রাজ্য সরকারকে কড়া পদক্ষেপ নিতে দেখা গেছে এই আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে। এদিন শহীদ মিনারের সামনে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের ধরনা মঞ্চের পাশেই পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে সদস্যরা পালন করলেন প্রজাতন্ত্র দিবস। পাশাপাশি সংঘবদ্ধ হয়ে সংকল্প করলেন, সার্বিক উন্নতি এবং উন্নয়নের দিক  থেকে পিছিয়ে পড়া পশ্চিমবঙ্গকে, ফের সামনে সারিতে আনার।

এদিন এ প্রসঙ্গে যৌথ মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ রাজ্য প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে কড়া ভাষায় প্রতিক্রিয়া জানান। তিনি জানালেন, 'ভারতের ইতিহাসে এরকম স্বৈরাচারী কোরাপ্টেড সরকার ভারতবর্ষ এর আগে দেখেনি।' তবে পাশাপাশি তিনি হুঁশিয়ারি দিলেন, আগামী ২৯ জানুয়ারি থেকে সরকারি ক্ষেত্রে লাগাতার ধর্মঘটের পাশাপাশি সুরাহা না মিললে আগামী লোকসভা ভোট বয়কটের ডাকও দেবেন প্রয়োজনে।

হকের দাবিতে রাজ্যের সরকারি কর্মচারীরা দীর্ঘ ১ বছর ধরে আন্দোলন চালিয়ে গেলেও প্রশাসনের এ বিষয়ে কেন টনক নড়ছে না? এ প্রশ্নের কোনও উত্তর নেই। যৌথ মঞ্চের ধরনা মঞ্চের পাশেই রেড রোডে পালিত হচ্ছে প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠান। তারপরেও প্রশাসনের চোখে এ দৃশ্য পড়ছে না কেন? আর কত আন্দোলনের পরে সুরাহা মিলবে? এসব প্রশ্ন কিন্তু থেকেই যাচ্ছে।


Follow us on :