১০ মে, ২০২৪

Meeting: বকেয়া টাকার দাবি, শেষমেশ নাছোড়বান্দা অভিষেকের সঙ্গে বৈঠকে রাজ্যপাল
CN Webdesk      শেষ আপডেট: 2023-10-09 16:27:34   Share:   

১০০ দিনের কাজ, আবাস যোজনার বকেয়া টাকার দাবিতে দিল্লিতে প্রতিবাদ কর্মসূচি গ্রহণ করেছিল তৃণমূল। সেখানে কৃষিভবনে আটক করা হয় অভিষেক সহ অন্যান্য সাংসদের। এরপরেই দিল্লি থেকে অভিষেক (Abhisekh Bandopadhyay) রাজভবন অভিযানের ডাক দেয়। গত সপ্তাহে বৃহস্পতিবার অভিষেক রাজভবনে গেলে সেখানে ছিল না রাজ্যপাল (CV Anand Bose)। ততক্ষনে তিনি দিল্লি সফরে গিয়েছেন। এর পরেই বাধে বিপত্তি। রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করবেন বলে রাজভবনের সামনে ধরণায় বসেছিল অভিষেক। দীর্ঘ ৪ রাত ধরনা দেওয়ার পর শেষমেশ অভিষেকের সঙ্গে বৈঠকে বসলেন রাজ্যপাল।

রাজ্যপালের দেওয়া সময়েই ৩০ জনের প্রতিনিধি দল নিয়ে রাজভবনে বৈঠক করতে ঢুকলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বিকেল ৪টের সময় তাঁদের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে জানিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। ১০০ দিনের কাজে বঞ্চিতদের চিঠি নিয়ে রাজভবনে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করবেন এবং নিজেদের দাবি জানাবেন অভিষেকেরা। রাজ্যপালের সঙ্গে এই বৈঠকের জন্য গত পাঁচ দিন ধরে ধর্নায় বসেছেন অভিষেক।

সূত্রের খবর, ধরনা চলাকালীন তিস্তায় হড়পা বাণে বন্যা আকারে ধারণ করে কোচবিহার, কালিম্পঙ, ও জলপাইগুড়ি জেলায়। এরপরেই ওই এলাকায় পরিদর্শনে যান রাজ্যপাল বোস। এরপরেই অভিষেকের দাবিতে সাড়া দিয়ে দার্জিলিংয়ে রাজভবনে বৈঠকের আহ্বান করেন। অভিষেক যদিও কলকাতাতেই রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠকে অনড় ছিলেন, এরপর রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার, ও দুই সাংসদ কল্যাণ মুখোপাধ্যায় ও মহুয়া মৈত্র যান দার্জিলিংয়ে রাজভবনে বৈঠক করতে। বৈঠক শেষে অবশ্য কল্যাণ মুখোপাধ্যায় জানান, রাজ্যপাল অভিষেকের সঙ্গে দেখা করবেন বলেছেন। যদিও এরপরেই রবিবার রাতে কলকাতায় ফিরেছেন রাজ্যপাল বোস। তখনিই অভিষেকের সঙ্গে বৈঠকের সম্ভাবনা প্রবল হয়। এরপর  সোমবার রাতে চিঠি নিয়ে ও ৩০ জনপ্রতিনিধি নিয়ে রাজভবনে রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠকে ঢুকেছেন অভিষেক।

কেন্দ্রের বকেয়া টাকা সুদ-সহ আদায় করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন অভিষেক। তিনি ধর্নামঞ্চ থেকে বলেন, ‘‘আইন অনুযায়ী টাকা মেটাতে দেরি হলে নির্দিষ্ট হারে সুদ দিতে হয়। সেই সুদের নিয়ম অনুযায়ী আমরা সব টাকা কেন্দ্রের থেকে আদায় করব। বঞ্চিতদের টাকা পাইয়ে দেব। অভিষেক ধর্নার শুরু থেকেই জানিয়ে আসছেন, রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে তাঁর সামনে তিনি দু’টি প্রশ্ন রাখতে চান। এক, এই ২০ লক্ষ মানুষ ১০০ দিনের কাজ করেছেন কি না। দুই, যদি করে থাকেন, তা হলে কোন আইনের কোন ধারায় তাঁদের টাকা দীর্ঘ দিন ধরে আটকে রাখা হয়েছে? রাজ্যপালের মাধ্যমে এই প্রশ্নগুলি তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের কাছেও পৌঁছে দিতে চান বলে জানিয়েছেন।


Follow us on :