Share this link via
Or copy link
প্রসূন গুপ্ত: বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো। বছরের এই একটি সময়ে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে বাঙালিরা একত্রিত হয়ে পূজায় অংশ নেন। আজকে আমেরিকা, ব্রিটেন থেকে সিঙ্গাপুর, দুবাই প্রতিটি দেশে এমনকি পাকিস্তানেও শারদ উৎসব হয়ে থাকে। দুর্গাপুজো বা দীপাবলি। দুর্গাপুজো কিন্তু একান্তই বাঙালির পুজো। যদিও বিহার বা আসামেও পুজো হয়ে থাকে। এবারে আসি কলকাতা শহরে। কলকাতার প্রতিটি অঞ্চল সেজে ওঠে পুজো উৎসবে। বাঙালিরা এমনিতেই ধর্ম নিরপেক্ষ কাজেই সমস্ত ধর্মের মানুষের প্রবেশ ও আনন্দ করার অধিকার আছে। কলকাতা একেবারেই সেই পথ ধরেই চলে। তবে এটা আধুনিক যুগ, আজকের পুজো শুধুমাত্র দেবী আরাধনা নয়, একটা প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। আগে পুজো বলতে উত্তর কলকাতায় বিবেকানন্দ স্পোর্টিং, সিমলা ইত্যাদি থাকলেও ভিড় হতো প্রধানত দক্ষিণ কলকাতাতে। সঙ্ঘশ্রী, সংঘমিত্রা থেকে বালিগঞ্জ, একডালিয়া ইত্যাদি থেকে বেহালা। কিন্তু এটা থিমের যুগ। কে কাকে থিম দিয়ে টপকে যাবে তারই প্রতিযোগিতা থাকে। উত্তর কলকাতাতে গত বেশ কয়েক বছর ধরে বিশেষ আকর্ষণ মন্ত্রী সুজিত বসুর শ্রীভূমি স্পোর্টিং। সারা বাংলার দর্শনার্থীদের কাছে রোনাল্ডিনহো দেখার থেকেও শ্রীভূমির পুজো দেখা অনেক বেশি গর্বের।
সুজিতের পুজোয় কিন্তু মাতৃমূর্তি সাবেকি। কিন্তু তাঁর থিম মণ্ডপে এবং আলোকে। কখনও বুর্জ খলিফা থেকে এবারের ডিজনিল্যান্ড। নিখুঁত নিপাত কাজ। স্বাভাবিক ভিড় প্রবল একেবারে প্রথমা থেকে দশমী অবধি। এবারে বিতর্ক উঠেছে যে, এতো ভিড় এতো গাড়ি যে রাস্তা জ্যাম হয়ে যাচ্ছে। মানুষ ঘন্টার ঘন্টা আটকে যাচ্ছে বলে অভিযোগ। কিন্তু বড় পুজো ববি হাকিম, অরূপ বিশ্বাস, দেবাশীষ কুমার থেকে প্রতি প্যান্ডেলে প্রবল ভিড় হয়। কিন্তু কলকাতার দক্ষিণ প্রান্ত যতটা প্ল্যান করে তৈরি উত্তরে তা মোটেই নয়। লেকটাউন অঞ্চলে এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যাওয়ার অসংখ্য রাস্তা নেই, সেরকম ভিআইপি রোডও। কাজেই ভিড় হবেই। এতো প্রচার থাকলে সকলেরই দেখার ইচ্ছা তো থাকবেই। সমস্ত বিষয়টি একেবারে পুলিশ প্রশাসনের হাতে কাজেই দায়িত্ব তাদের নিতে হবে। ভিড় হচ্ছে বলে মুখ্যমন্ত্রী যানবাহনের দিকে তাকিয়ে সুজিতকে দায়িত্ব নিতে বলেছেন। সুজিতের কাছে ভিড় আটকানোর কোনও মন্ত্র আছে বলে তো মনে হয় না।