১৬ মে, ২০২৪

Ragging: র‍্যাগিং তো আদিম রিপু
CN Webdesk      শেষ আপডেট: 2023-08-13 13:42:43   Share:   

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ছাত্র স্বপ্নদীপ কুন্ডুর নির্মম মৃত্যুতে তোলপাড় দেশের নাগরিক থেকে মিডিয়া মহল। কি বস্তু এই ৱ্যাগিং? সাদা মাথায় বলা যেতে পারে কারুর উপর মানসিক অত্যাচার বিশেষ করে যুবা মহলে তথা কলেজের হোস্টেলে আসা নব্য ছাত্রছাত্রীদের। নতুনরা ভর্তি হওয়ার পর ছাত্রাবাসে তাদের বোকা বানানো বা মানসিক চাপ দেওয়াই নাকি এই ৱ্যাগিং। কিন্তু কি ভাবে আসলো এই বস্তুটি, স্বাভাবিক প্রশ্ন।

এটি আদি ইতিহাসের অঙ্গ। আমরা মহাভারতের মতো পৌরাণিক কাহিনীতেও এই ৱ্যাগিং-এর ঘটনা পাই। ঋষি দ্রোণাচার্যের আশ্রমে অবসর হলেই মহা পরাক্রমী ভীম সকলের খাওয়া কখনও খেয়ে নিতেন। আবার কৌরবদের শতপুত্রদের অধিকাংশকে একটু 'হাতের সুখ' করার কাহিনীও জানতে পারি। যাক ওসব আদি ইতিহাস। শোনা যায় ব্রিটিশ আমলে নতুন ছাত্রছাত্রীদের যে কোনও শিক্ষা কেন্দ্রে নানান ভাবে বোকা বানানো বা মানসিক চাপ দেওয়াটা একটা রেওয়াজ ছিল।অবশ্যই  কান্ডগুলি করতো সাহেবরা ভারতীয়দের উপরেই। কখনও কখনও মাত্রা ছাড়ানো অত্যাচারও হতো। ভারত স্বাধীন হওয়ার পরে বিভিন্ন কলেজের ছাত্রাবাসে এই কান্ডটি হয়ে থাকতো। সারা ভারতেই এই কারবার অলিখিত ভাবে চালু ছিল বিশেষ করে সরকারি কলেজে।

ইঞ্জিয়ারিং কলেজে তো এটা প্রায় বাধ্যতামূলক ছিল। এ ছাড়া যাদবপুর বা জেএনইউ তে এটি নাকি দস্তুর ছিলই। তবে এক সময়ের বিই কলেজে এই ৱ্যাগিং কে বলা হতো বোরিং অর্থাৎ নতুনদের বোকা বানাও কয়েকদিন ধরে। শিবপুরের ইলেক্ট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ার পার্থপ্রতিম ঘোষ জানালেন যে এখানে শারীরিক অত্যাচারের প্রশ্নই নেই। কয়েকদিন তাদের নিয়ে মজা হতো তারপর হতো গ্রান্ড ফিস্ট। অর্থাৎ পুরোনো ছাত্ররা নতুনদের খাওয়াতো। পার্থবাবু জানালেন, এতে নতুন পুরাতনদের মধ্যে একটা বন্ধুত্ব গড়ে উঠতো, একই সাথে একটা লজ্জা ভাব কেটে চনমনে থাকতো নব্যরা। পার্থবাবুর কথায় জটিলতা নেই কিন্তু এটাই সীমারেখা ছাড়িয়ে গিয়েছে বহুবার এবং তার থেকেই স্বপ্নদীপের মৃত্যু।


Follow us on :