Share this link via
Or copy link
কালিয়াগঞ্জ কাণ্ডে (Kaliaganj murder) এবার সিবিআই (CBI) তদন্তের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হল মৃতা কিশোরীর পরিবার। বুধবার মেয়ের মৃত্যুর রহস্য উন্মোচনে সিবিআই তদন্ত চেয়ে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে হাজির হয়েছিলেন নাবালিকার বাবা। সেই ঘটনায় মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন বিচারপতি। আগামীকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।
শুক্রবার উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জে বাড়ির কাছে একটি পুকুর পাড় থেকে এক কিশোরীর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। অভিযোগ ওঠে, তাকে যৌন নিগ্রহের পর খুন করা হয়েছে। রাস্তা দিয়ে টেনে হিঁচড়ে কিশোরীর মৃতদেহ নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ ওঠে পুলিসের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনায় তেতে ওঠে কালিয়াগঞ্জ। দফায় দফায় চলে পথ অবরোধ। অশান্ত হয়ে ওঠে কালিয়াগঞ্জ-দুর্গাপুর জাতীয় সড়ক। উন্মত্ত জনতার রোষের মুখে পড়েন পুলিসকর্মীরা। বেপরোয়া ইটবৃষ্টি শুরু হয় পুলিসকে লক্ষ্য করে। পরিস্থিতি সামাল দিতে পাল্টা লাঠি চালায় পুলিস। ফাটানো হয় কাঁদানে গ্যাসের সেল।
এই ঘটনা ঘিরে তারপর থেকেই শুরু হয় রাজনৈতিক টানাপড়েন। তুঙ্গে ওঠে কেন্দ্র-রাজ্য তরজাও। রবিবার মৃতার বাড়িতে গিয়ে তার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন জাতীয় এসসি কমিশনের ভাইস চেয়ারপার্সন অরুণ হালদার। সেখান থেকে বেরিয়েই তিনি রাজ্যের প্রশাসনিক কর্তাদের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দেন। বলেন, ‘সমন পাঠিয়ে ডাকা হবে, যদি হাজিরা না দেন তো গ্রেফতার করা হবে।’ পরিবার ও বিরোধীরা প্রথম থেকেই অভিযোগ করছেন ওই কিশোরীকে যৌন নিগ্রহের পর খুন করা হয়েছে।
যদিও পুলিস প্রাথমিক তদন্ত করে খুনের তথ্য খারিজ করে দিয়েছে। কালিয়াগঞ্জ কাণ্ডে আগেই সিবিআই তদন্ত চেয়ে এবং নাবালিকার পরিবারকে নিরাপত্তা প্রদানের জন্য কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল। পাশাপাশি ১ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্যেও আবেদন জানিয়েছিলেন মামালকারীর আইনজীবী।