Share this link via
Or copy link
চাকরিপ্রার্থীদের একটি মামলায় বিভিন্ন জেলায় অ্যাপ্টিটিউড টেস্ট না নিয়ে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। ওই মামলায় প্রিয়াঙ্কা নস্কর সহ কয়েক জন চাকরিপ্রার্থীকে কাঠগড়ায় তুলে সাক্ষ্যগ্রহণ (Withness) করেন বিচারপতি (Judge) গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly)। জাস্টিস গাঙ্গুলি জেরা করে জানতে পারে টেস্ট তো দূরের কথা কোথাও কোথাও ইন্টারভিউও ঠিক মত হয় নি। যা শুনে রীতিমত নড়েচড়ে বসে জাস্টিস গঙ্গোপাধ্যায়।
এবার শিক্ষকদের ডেকে পাঠালেন জাস্টিস গাঙ্গুলি। সে সময় যারা চাকরি পরীক্ষা দিয়েছিল। এবং ইন্টারভিউ দিয়েছিল। জাস্টিস গাঙ্গুলির নির্দেশে ওই শিক্ষকদের আদালতে আসার খরচ বহন করতে হয়েছিল পর্ষদকে। প্রথম পর্যায়েই, হুগলি, হাওড়া, উত্তর দিনাজপুর, কোচবিহার, মুর্শিদাবাদ ইন্টারভিউ নেওয়া শিক্ষকদের তলব করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
বিচারপতির নির্দেশ মতো হাজিরও হয়েছিলেন শিক্ষকেরা। হাইকোর্টের সার্ধশতবার্ষিকী ভবনের ৯ তলায় তাঁদের সবার মুখে শোনেন ইন্টারভিউয়ের গল্প। বিচারপতির গাঙ্গুলির অভয়ে অনেক শিক্ষক স্বীকার করে নেন, কোনও অ্যাপ্টিটিউড টেস্ট নেওয়া হয়নি। কেউ কেউ নাকি জানতেনই না, কীভাবে নেওয়া হয় সেই পরীক্ষা। এরপরে তৎকালীন মানিক ভট্টাচার্যকে ডাকা হয়। তাঁকে এ বিষয়ে জিগ্যেস করা হয়। কিন্তু ওনার থেকে সন্তোষজনক কিছু পাওয়া না গেলেও বিচারপতি স্পষ্ট জানান দুর্নীতি হয়েছে। চাকরি সে পায়নি যে অ্যাপ্টিটিউড টেস্টে পাশ করেছে। চাকরি পেয়েছে যে অ্যাপ্টিটিউড টেস্টে পাশই করেনি।
সেই মামলাতেই শুক্রবার (১২ মে) ৩৬ হাজার প্রার্থীর চাকরি বাতিল করার নির্দেশ দিল হাইকোর্ট। যাঁরা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত, তাঁদের চাকরি বহাল থাকছে। এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছে মামলাকারী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি।