রাজ্যে ফের বাড়ল ডেঙ্গি (Dengue) আক্রান্তের সংখ্যা। রবিবার সারাদিনে ডেঙ্গি টেস্ট (Dengue Test) হয়েছে ৪ হাজার ৯৩৫ জনের। যার মধ্যে নতুন করে ডেঙ্গি পজিটিভ (Positive) হয়েছেন ৭৬২ জন। সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন প্রায় ৭০০-এর কাছাকাছি ডেঙ্গি আক্রান্ত রোগী। সবমিলিয়ে গোটা রাজ্যে (West Bengal) ৩০ হাজারের কাছাকাছি আক্রান্ত হয়েছেন ডেঙ্গিতে।
গত ১৫ই অক্টোবর নবান্নে একটি বৈঠক হয়, যেখানে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ায়, রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী সতর্ক করেন দক্ষিণবঙ্গের চার জেলা- উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া এবং হুগলিকে। চিকিৎসকদের মতে, গত বছরের তুলনায় এই বছর তুলনামূলকভাবে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ার একাধিক কারণ রয়েছে। তার মধ্যে যে দুটি কারণ উল্লেখ্য, তা হল- আবহাওয়ার খাম খেয়ালিপনা এবং মানুষের সচেতনার অভাব।
ধরন বদলেছে ডেঙ্গির, বদল হয়েছে উপসর্গেরও। আগে দেখা যেত, ডেঙ্গি আক্রান্তদের ক্ষেত্রে তীব্র মাথব্যথা, ১০৪ থেকে ১০৫ জ্বর, গা-হাত-পা ব্যথা থাকত। পাশাপাশি ৫ দিনের মাথায় গায়ে র্যাশ দেখা দিত। এরপর ডেঙ্গি টেস্ট করলেপজিটিভ ধরা পড়ত। কিন্তু এখন ডেঙ্গি আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে নতুন উপসর্গ দিচ্ছে, আগের মত জ্বর এতটা বেশি থাকছে না। মাথা ব্যথা হচ্ছে না,সেই জায়গায় হচ্ছে গলা ব্যথা। গায়ে খুব ব্যথা থাকছে না, বরং পেটে ব্যথা ও বমি হচ্ছে।
এখনও পর্যন্ত যে সমস্ত রোগীদের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের ডেঙ্গি ২ এবং ডেঙ্গি ৩ দুটোই দেখা গিয়েছে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, গত সেপ্টেম্বর মাসের হিসাব অনুযায়ী রাজ্যে,
*ডেঙ্গি ৩-তে আক্রান্ত ছিল ৫০-৬০ শতাংশ।
*ডেঙ্গি ২-তে আক্রান্ত ছিল ২০-২৫ শতাংশ।
*ডেঙ্গি ১ এবং ৪-এ আক্রান্ত ছিল যথাক্রমে ২-৫ শতাংশ এবং ১ শতাংশ।
পাশাপাশি,অক্টোবর মাসে ডেঙ্গি ৩-তে আক্রান্ত হয়েছেন ৫২ শতাংশ। ডেঙ্গি ২-তে আক্রান্ত হয়েছেন ৪০ শতাংশ মানুষ। ডেঙ্গি ১ এবং ৪-এ আক্রান্ত হয়েছেন যথাক্রমে মাত্র ৬ এবং ১ শতাংশ মানুষ।