Share this link via
Or copy link
এই মুহূর্তে ইডি হেফাজতেই (ED) থাকতে হবে নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে (Recruitment Scam) ধৃত মানিক ভট্টাচার্যকে (Manik Bhattacharya)। বুধবার সুপ্রিম কোর্ট (supreme Court) তাঁর আবেদনে কোনও সাড়া দেয়নি। তাই আপাতত এই সপ্তাহ পর্যন্ত রেহাই নেই প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের অপসারিত সভাপতির। আগামী সোমবার মানিকের আবেদন শুনবে শীর্ষ আদালত। এমনটাই জানিয়েছে বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসুর বেঞ্চ। মূলত রক্ষাকবচ থাকা সত্বেও কেন তাঁকে গ্রেফতার? এই আবেদন করে শীর্ষ আদালতে দরবার করেন তৃণমূলের পলাশিপাড়ার বিধায়ক।
এদিকে, সোমবার মধ্যরাতে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদের পর তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগে গ্রেফতার প্রাথমিক বোর্ডের প্রাক্তন সভাপতি। তাঁর বিরুদ্ধে অর্থের বিনিময়ে বেআইনি নিয়োগের অভিযোগ উঠেছে। ইতিমধ্যে একাধিকবার সিবিআই হাজিরা এড়িয়েছেন তিনি। সুপ্রিম কোর্ট থেকে নিয়ে এসেছেন রক্ষাকবচ। তারপরেও ইডির হাতে তাঁর গ্রেফতারি। ইতিমধ্যে মানিকের ফোন ঘেঁটে একাধিক সূত্র পেয়েছে ইডি। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে যে চার্জশিট পেশ করেছে ইডি, তাতেও নাম রয়েছে মানিকের। তাই বেশ কিছুদিন ধরেই কেন্দ্রীয় এই সংস্থার নজরে ছিলেন মানিক।
অপরদিকে, ১৪ দিনের ইডি হেফাজতে মানিক। তাই প্রথম দিন থেকেই তাঁকে জেরা করতে চায় কেন্দ্রীয় সংস্থা। যদিও বুধবারও ইডিকে তদন্তে অসহযোগিতা করেছেন প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের অপসারিত সভাপতি। বেশিরভাগ প্রশ্নের জবাবে চুপ থেকেছেন তিনি। এমনটাই ইডি সূত্রে খবর। এযাবৎকাল তদন্তে ইডি জানতে পেরেছে, দশ বছর বেশি সময় মানিক ভট্টাচার্য প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি ছিলেন। তাঁর আমলে টাকার বিনিময় প্রচুর চাকরি হয়েছে। ৫৮ হাজারেরও বেশি প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অর্থ তছরূপের কিংপিন হিসেবে মানিক ভট্টাচার্যকে মনে করছেন ইডি আধিকারিকরা।