০৯ মে, ২০২৪

Nabanna: নবান্নের দুয়ারে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ, ধরনার শেষ দিন, রাতভর বিক্ষোভ
CN Webdesk      শেষ আপডেট: 2023-12-23 14:35:05   Share:   

সারারাত নবান্নের সামনে বিক্ষোভে জারি রইল সরকারি কর্মচারীদের। রাজ্যের সচিবালয়ের ১০ মিটার দূরত্বে আদালতের অনুমতি নিয়ে তাঁদের এই আন্দোলন মোটেই সহজ ছিল না। অনেক লড়াইয়ের পর যখন আদালতের অনুমতি এল, তখন নবান্নে ঢোকার মুখেই সম্মুখীন হতে হল পুলিসি বাধার। আন্দোলন থামাতে সরকার গেল ডিভিশন বেঞ্চে। সেখান থেকেও ফিরল হেরে। এই এত কিছুর পর অবশেষে তাদের আন্দোলনের চিন্তায় সফল আন্দোলনকারীরা। ঠান্ডায় সারা রাত বিক্ষোভের পর কারোর গলা ধরে গিয়েছে। কেউ বা হয়েছে ক্লান্ত। কিন্তু তাদের আন্দোলন থামেনি। তাঁদের দাবি, রাজ্য সরকার লজ্জাহীন! তারা শুধু চুরি করতে জানে। ন্যায্য দিতে নয়। তাই সুফলের দিকে চেয়ে অপেক্ষমান এরাজ্যেরই সরকারি কর্মচারীরা।

মুখ্যমন্ত্রীর অফিসের সামনে তাদের এই আন্দোলনে হাইকোর্টের অনুমতির পর থেকেই নবান্নের সামনে নিরাপত্তার সে কী বাহার! পুলিসের অতিসক্রিয়তা থেকে শুরু করে বহু সিসিটিভি এমনকি উড়ছে ড্রোন ক্যামেরা। তবে আন্দোলনকারীদের কটাক্ষ, এত ড্রোন এখানে না লাগিয়ে রাজ্যের প্রান্তে প্রান্তরে ওড়ালে হয়ত এত চুরি, খুনের মত ঘটনা ঘটত না।

অন্যায় যেখানে হবে, প্রতিবাদও সেখানে হবেই। তাদের আন্দোলনের দিন সকাল ১১ টা নাগাদ ধরনা মঞ্চে আসেন সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম। তাদের এই আন্দোলন একটা মাইলফলক।

নবান্নে রাজ্যের সচিবালয় হওয়ার পর নবান্ন চলো অভিযানের ক্ষেত্রে হোক বা কোনও বিক্ষোভ- অনুমতি মেলেনি। তবে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের মাধ্যমে রাজ্যের সরকারি কর্মচারীরা সরকারের অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করে দেখিয়েছে। নবান্নের থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে তাঁরা প্রতিবাদ করে দেখিয়েছে। কিন্তু শেষ অবধি মুখ্যমন্ত্রী বা রাজ্যের পক্ষে কোনও প্রতিনিধির দেখা মিলবে কি? একটুও কি মানবিক হবেন না মুখ্যমন্ত্রী? এটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন।


Follow us on :