০৯ মে, ২০২৪

CV Ananda Bose: রাজ্য সরকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলির ‘ক্ষমতা কুক্ষিগত’ করছে, অভিযোগ রাজভবনের
CN Webdesk      শেষ আপডেট: 2024-04-05 13:17:32   Share:   

একদিকে যখন শিক্ষামন্ত্রীকে মন্ত্রিত্ব থেকে সরানোর সুপারিশ করল রাজ্যপাল, অন্যদিকে তখন বিবৃতি-পাল্টা বিবৃতিতে রাজ্য-রাজভবন সংঘাত চরমে। সম্প্রতি গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যকরী উপাচার্য রজত কিশোর দে-কে তাঁর পদ থেকে সরিয়ে দেন রাজ্যপাল। যা নিয়ে জোর জল্পনা শুরু হয়। মূলত সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের নিয়ে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে রাজভবন। যেখানে স্পষ্ট বলা হয়, রাজ্য সরকারের উচ্চশিক্ষা দফতরের বেআইনি আদেশে যে সকল উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ স্তব্ধ করে করে রেখেছেন, আচার্য তাঁদের সতর্ক করছেন। পশ্চিমবঙ্গ সরকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলির ‘ক্ষমতা কুক্ষিগত’ করতে চাইছে বলেও অভিযোগ করা হয়েছে সেখানে।

রাজভবনের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, উপাচার্যেরা যে সব নির্দেশ দিয়েছিলেন, আচার্য তা ক্ষমতাবলে রদ করে দিচ্ছেন। এ নিয়ে অবশ্য টুইট কটাক্ষ করেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। এরপরেই রাজ্যপাল বৃহস্পতিবার রাজ্যকে সুপারিশ করে নির্বাচনী আইন বিধি লঙ্ঘন করার জন্য ব্রাত্য বসুকে যেন শিক্ষামন্ত্রী পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। যদিও তা নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি শিক্ষামন্ত্রী।

শিক্ষামন্ত্রী টুইটে কটাক্ষ করে লেখেন, ‘‘আমি রাষ্ট্রপতির কাছে যদি রাজ্যপালকে সরানোর সুপারিশ করতাম, তা হলে সেটা যেমন হাস্যকর হত, এটাও ঠিক তেমনই। আমি কোনও নির্বাচনী বিধিভঙ্গ করে থাকলে তা কমিশনের নজরে আনার অধিকার রয়েছে রাজনৈতিক দলের। ভারতের সংবিধান অনুযায়ী কোনও রাজ্যের মন্ত্রীর অপসারণ বা নিয়োগের সুপারিশ করতে পারেন একমাত্র মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু রাজ্যপাল এমন অভিযোগ তুলে নিজের সাংবিধানিক পদের অপব্যবহার করছেন। নিজের রাজনৈতিক পরিচয়ও প্রকাশ্যে এনেছেন। নিজের সাংবিধানিক সীমাও লঙ্ঘন করেছেন।’’


Follow us on :