Share this link via
Or copy link
রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে ইতিমধ্যেই ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন মন্ত্রী ঘনিষ্ঠ বনগাঁর প্রাক্তন চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্য। তারপর থেকেই ইডির তদন্তে একাধিক বিস্ফোরক তথ্য উঠে আসছে শঙ্করের বিরুদ্ধে। তদন্তে নেমে ইডির দাবি রেশন দুর্নীতিতে সরাসরি যোগ রয়েছে জ্যোতিপ্রিয় ঘনিষ্ঠ শঙ্করের। শঙ্করের মাধ্যমেই রেশন দুর্নীতির কালো টাকা সাদা হয়ে পাচার হয়ে যেত বিদেশে। একাধিক দুর্নীতি তো বটেই তবে গ্রেফতারের পর শঙ্করের বিরুদ্ধে তদন্তে অসহযোগিতার খবরও প্রকাশ্যে এসেছে ইডি সূত্রে। রবিবার শঙ্করকে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ইডি দফতর থেকে নিয়ে যাওয়া হয় বিআর সিং হাসপাতালে। এদিন স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর বেরোনোর সময় শঙ্কর আঢ্যকে জিজ্ঞাসা করা হয়, এই বিপুল টাকার লেনদেন সম্পর্কে কি তাঁর দল জানতো? উত্তরে শঙ্কর বললেন- সব ফরেক্সেই এরকম হয়, এর সঙ্গে দলের কী আছে?
তবে যতই দলের কথা এভাবে এড়িয়ে যাক শঙ্কর আঢ্য, রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে যে শাসক দলেরই একাধিক প্রভাবশালীর নাম জড়িয়ে রয়েছে তা জানতে বাকি নেই কারও। কারণ এই রেশন দুর্নীতিতে শাসকদলের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় ইতিমধ্যেই ইডির গ্রেফতার হয়ে রয়েছেন জেলে। তাই যতই ধামাচাপার চেষ্টা হোক, যতই তদন্তকারীদের ওপর হামলা করে, তদন্তে অসহযোগিতা করে, তদন্ত প্রক্রিয়া ব্যাহত করার চেষ্টা করা হোক, তদন্তের মাধ্যমেই আসল সত্য শীঘ্রই প্রকাশ্য পাবে, এমনটাই মনে করছে বাংলার ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ।