Share this link via
Or copy link
এবার সংশোধনাগারে গর্ভবতী হয়ে পড়ছেন মহিলারা। সংশোধনাগারে মৃত্যু হলেই বন্দিদের মৃতদেহ পাচার করে দেওয়া হচ্ছে? এমন অভিযোগে আদালতের নির্দেশে ক্রিমিনাল বেঞ্চের মামলায় এবার রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব কলকাতা হাইকোর্টের।
মঙ্গলবার এই মামলার শুনানিতে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এবং বিচারপতি গৌরাঙ্গ কান্তর ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি চলাকালীন আদালত বান্ধব আইনজীবী তাপস ভঞ্জ জানান, সুপ্রিম নির্দেশে আদালত বান্ধব পশ্চিমঙ্গের বিভিন্ন আদালত ঘুরে দেখেন। তিনি চাক্ষুষ করেন, কীভাবে মহিলারা সংশোধনাগারে অত্যাচারিত হয়। পরবর্তীতে সেই সংক্রান্ত আরও তথ্য সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েও জানান আইনজীবী তাপস ভঞ্জ।
মামলার শুনানি চলাকালীন এসব শুনে বিচারপতি মন্তব্য করেন, সন্ধ্যে ছয়টার মধ্যে সব বন্দিদের জেলে প্রবেশ করানোই নিয়ম। এর অন্যথা হলে আইনানুযায়ী পদক্ষেপ নিতে হবে। এটা কারোর ক্ষমতা দেখানোর বা চ্যালেঞ্জিং বিষয় না, এটা মহিলাদের সুরক্ষা এবং সকল বন্দিদের জীবনের প্রশ্ন। এরই সঙ্গে দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের এটা মাথায় রাখতে হবে বলে মন্তব্য করেন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এবং বিচারপতি গৌরাঙ্গ কান্তর ডিভিশন বেঞ্চ।
অবশেষে মামলায় মঙ্গলবারের শুনানিতে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এবং বিচারপতি গৌরাঙ্গ কান্তর ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, আগামী ৮ মার্চের মধ্যে রাজ্যকে জানাতে হবে জেল সংক্রান্ত সব তথ্য। কীভাবে বন্দিদের সংশোধনাগারে রাখা হয়? মহিলাদের সেল ওভার ক্রাউডেড কিনা? মেডিক্যাল সাপোর্ট কীভাবে দেওয়া হয়? সংশোধনাগারে গাইনো চিকিৎসক কতজন আছেন? কোন পর্যায়ে অসুস্থ বন্দিদের চিকিৎসা দিতে বাইরের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়? মহিলা বন্দিদের সংশোধনাগারে প্রবেশ ও থাকার সময় কোথায় কত কর্মী কতক্ষন ডিউটি করেন? এই সব তথ্য রাজ্যের তরফে দিতে হবে আদালতে।