১৬ মে, ২০২৪

Prasanna Roy: নিয়োগ দুর্নীতিতে ইডির স্ক্যানারে প্রসন্ন, কে এই প্রসন্ন রায়?
CN Webdesk      শেষ আপডেট: 2024-01-18 14:43:59   Share:   

নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে ২০২২ সালের অগাস্ট মাসে পরিবহন ব্যবসায়ী প্রসন্ন রায়কে গ্রেফতার করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। ২০২৩-এর নভেম্বরে সুপ্রিম কোর্ট থেকে শর্তসাপেক্ষে জামিন পান প্রসন্ন। জামিনের ৩ মাস পরেই ফের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির স্ক্যানারে এই প্রসন্ন রায়। বৃহস্পতিবার নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে প্রসন্নর একাধিক ফ্ল্যাট ছাড়াও নিউটাউনের অফিস সহ মোট ৭ জায়গায় তল্লাশি অভিযানে তৎপর হয়েছেন ইডি আধিকারিকরা।

আসলে কে এই প্রসন্ন রায়? এই প্রসন্ন রায়ের উত্থানের গল্প সিনেমার চিত্রনাট্য থেকে কোনও অংশে কম নয়। রংমিস্ত্রি থেকে পরিবহন ব্যবসায়ী হওয়ার গল্প শুনলে আপনার চোখ কপালে উঠতে বাধ্য। জানা যায়, প্রথম জীবনে প্রসন্ন রায় ছিলেন একজন সাধারণ রং মিস্ত্রি। তারপর ঠিকাদার রং মিস্ত্রি হিসেবেও কাজ করতেন প্রসন্ন। তারপর থেকে ধীরে ধীরে গাড়ির ব্যবসায় হাত লাগান তিনি। বিভিন্ন সরকারি অফিসে গাড়ি ভাড়া দিতেন। প্রসন্নর গাড়ি ভাড়া যেত এসএসসি দফতরেও। জানা গিয়েছে, এসএসসি উপদেষ্টা কমিটির প্রধান শান্তি প্রসাদ সিনহার কাছেও যেত প্রসন্নর গাড়ি। সেই সূত্র ধরেই শান্তি প্রসাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে প্রসন্নর। অন্যদিকে আবার এই প্রসন্ন রায়ের স্ত্রী, প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়-এর আত্মীয়। এই ঘনিষ্ঠতাকে কাজে লাগিয়েই চাকরি বিক্রির মিডলম্যান হিসেবে শান্তিপ্রসাদ সিনহার সঙ্গে কাজ শুরু করেন প্রসন্ন। এরপর থেকেই উত্থান শুরু হয় রং মিস্ত্রি প্রসন্ন রায়ের। সম্পত্তিও বৃদ্ধি পায় কয়েক গুণ। ইতিমধ্যেই তদন্তে প্রসন্ন রায়ের কয়েকশো কোটি টাকার সম্পত্তি সামনে এসেছে। এছাড়াও রয়েছে একশোর বেশি কোম্পানি। পাশাপাশি একাধিক ফ্ল্যাট, নিউ টাউন এলাকায় প্রচুর জমিও রয়েছে প্রসন্ন রায়ের। কেন্দ্রীয় তদন্তে দাবি, প্রসন্নর এই বিভিন্ন কোম্পানির মাধ্যমে চাকরির বিক্রির বিপুল পরিমাণ কালো টাকা হয়ে যেত সাদা।

অতি সাধারণ নিম্নমধ্যবিত্ত সংসার থেকে ঠিক এভাবেই রকেটগতিতে উত্থান হয় নিয়োগ দুর্নীতির অন্যতম মিডলম্যান প্রসন্নের। প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত ২টি মামলার তদন্তে নেমে প্রসন্নের নাম পেয়েছিল সিবিআই। গ্রুপ ডি নিয়োগ মামলা এবং নবম-দশমের শিক্ষক নিয়োগ মামলা। পরবর্তীতে শর্তসাপেক্ষ জামিনে মুক্তি পেয়েছেন প্রসন্ন রায়। ইতিমধ্যেই ইডির স্ক্যানারে রয়েছেন প্রসন্ন। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই চলছে জিজ্ঞাসাবাদ। এরপর ইডির তদন্তে নিয়োগ দুর্নীতিতে মিডলম্যানের ভূমিকা ছাড়াও আর কোন কোন দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত এই প্রসন্ন রায়? কার বদান্যতায় আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়েছে এই প্রসন্ন রায়ের? এসব প্রশ্নের উত্তর ইডির তদন্তে শীঘ্রই পাওয়া যাবে বলে মনে করছে বঙ্গের ওয়াকিবহাল মহল।


Follow us on :