Share this link via
Or copy link
মঙ্গলবার দুপুরে ওয়াটগঞ্জের কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টের একটি পরিত্যক্ত গোডাউনে প্লাস্টিকের মধ্যে মহিলার দেহাংশ উদ্ধার হয়। দেহের মাথা থেকে বুক এবং কোমর থেকে পা মিললেও পেট, দুই পায়ের পাতা এবং দুই হাত এখনও উদ্ধার করা যায়নি। খণ্ডবিখণ্ড দেহ উদ্ধারের ২৪ ঘণ্টা পার হলেও এখনও মহিলার দেহ সনাক্ত করা যায়নি। বুধবার অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে ওয়াটগঞ্জ থানার পুলিসের তরফে।
প্রসঙ্গত, অন্যান্য থানায় কোনও মিসিং রিপোর্ট দায়ের হয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখার পাশাপাশি স্থানীয় এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করার কাজও শুরু করেছে ওয়াটগঞ্জ থানার পুলিস। দেহাংশের হদিশ পেতে স্নিফার ডগও আনা হয় ঘটনাস্থলে। ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরাও দেহাংশের নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে যান। ইতিমধ্যে পরিত্যক্ত গোডাউনটিতে ঢোকার সমস্ত রাস্তা বন্ধ করা হয়েছে ওয়াটগঞ্জ থানার তরফে।
যে প্লাস্টিকের মধ্যে মুড়ে দেহাংশ ফেলে আসা হয়েছিল তার ভিতর থেকে ভারী ইট উদ্ধার হয়েছে। যা থেকে পুলিসের প্রাথমিক অনুমান, মহিলার দেহাংশ জলাশয়ে ডুবিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে আততায়ী। তবে পোর্ট এলাকা জনবহুল হওয়ায় তা সম্ভব হয়নি। বুধবার দুপুরে এসএসকেএম মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে দেহাংশের ময়নাতদন্ত হয়। দেহাংশের ময়নাতদন্তের রিপোর্টের পরই বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সামনে আসবে, অনুমান লালবাজারের হোমিসাইড শাখার আধিকারিকদের। ময়নাতদন্তের রিপোর্টের উপর ভিত্তি করেই পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে তা ঠিক করবে লালবাজার। এ ঘটনায় ইতিমধ্যে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় খুন এবং ২০১ ধারায় তথ্য প্রমাণ লোপাটের মামলা রুজু করেছে ওয়াটগঞ্জ থানার পুলিস।