Share this link via
Or copy link
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ‘মহাদেব অ্যাপ’ নামে অনলাইন বেটিং সংস্থার দফতরে তল্লাশি চালিয়ে ৪১৭ কোটি টাকা উদ্ধার করেছেন ইডি আধিকারিকরা। বৃহস্পতিবার রাতের ঘটনা। তদন্তকারীদের একাংশই বলছেন, এখনও পর্যন্ত নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার হওয়া অভিযুক্তদের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে কিংবা ই-নাগেটস জাতীয় অনলাইন গেমিং সংস্থার কর্তার বাড়িতে হানা দিয়ে যত পরিমাণ টাকা উদ্ধার করেছেন তাঁরা, এই পরিমাণের কাছে তা নস্যি! এবার ইডি-র র্যাডারে ‘মহাদেব অ্যাপ’ নামে অনলাইন বেটিং সংস্থা। জানা যাচ্ছে, এই সংস্থার সদর দফতর দুবাইয়ে। সেখানকারই বিভিন্ন ভুয়ো অ্যাকাউন্টে টাকা পাচার হত। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার হাতে উঠে এসেছে হাওয়ালা যোগের তথ্যও।
তদন্তকারীরা প্রাথমিকভাবে জানিয়েছেন, দুবাইয়ে বসেই প্রতারণার গোটা জাল বিছানো হয়েছিল একাধিক মেট্রো সিটিতে। একটি প্রতারণার অভিযোগের তদন্তে কলকাতা, মুম্বই, ভোপালে একযোগে তল্লাশি চালান ইডি আধিকারিকরা। বহু তথ্য যেমন হাতে এসেছে, তেমনই উদ্ধার হয় ৪১৭ কোটি নগদ টাকা। সঙ্গে সোনার বাঁট, গহনা। এই অনলাইন গেমিং অ্যাপ সংস্থা ফ্র্যাঞ্চাইজি দিত। তাদের আবার কমিশনও দিত। তারাই মূলত শহরগুলির বুকে জাল বিছোত। মোটা অঙ্কের টাকা জেতানোর তোপ দেওয়া হত। সেই ফাঁদে পা দিয়েই নিঃস্ব হতেন অ্যাপ ব্যবহারকারীরা।
অনলাইন গেমিং অ্যাপের মতোই অনলাইন বেটিং অ্যাপ। মূলত মাঝবয়সী থেকে বয়স্করা বেটিং অ্যাপে টাকা লাগাতেন। তাঁদেরকেই টার্গেট করা হত। কয়েক মাস আগেই গার্ডেন রীচের এক ব্যবসায়ীর বাড়ির খাটের নীচ থেকে উদ্ধার হয় কোটি কোটি টাকা। গাজিয়াবাদ থেকে গ্রেফতার করা হয় ব্যবসায়ী আমির খান। তিনি গেমিং অ্যাপের মাধ্যমে ঠিক এইভাবেই টাকা জেতানোর তোপ দিয়ে জাল বিছোতেন। তবে কর্মপদ্ধতি একই রকম হলেও, এই দুই সংস্থার মধ্যে কোনও যোগসূত্র রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। সেই তথ্য এখনও হাতে আসেনি।