১৪ মে, ২০২৪

Sujay Krishna: ভয়েস স্যাম্পেল দিতে অসহযোগিতা! নাটকীয় পর্ব শেষে 'কালীঘাটের কাকু'র কণ্ঠস্বরের নমুনা ইডির হাতে
CN Webdesk      শেষ আপডেট: 2024-01-04 12:23:29   Share:   

বুধবার রাত থেকে 'কালীঘাটের কাকু'-এর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ নিয়ে নাটকীয় পরিস্থিতি এসএসকেএম-এ। অবশেষে গভীর রাতে সম্পন্ন হল 'কালীঘাটের কাকু' সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ প্রক্রিয়া। বুধবার রাত ৯টা ১২ মিনিট নাগাদ এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে জোকা ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এর পর সেখানে ১২ টা ৫২ মিনিট নাগাদ তাঁর কণ্ঠস্বরের নমুনা নেওয়ার পর জোকা ইএসআই হাসপাতাল থেকে বার করা হয় কালীঘাটের কাকুকে। বিভিন্ন স্কেলে তার কন্ঠস্বর নেওয়া হয়েছে ও ইতিমধ্যে পাঠানো হয়েছে ফরেনসিক ল্যাবেও। তবে এখন প্রশ্ন উঠছে, এর আগে কাকুর শারীরিক অসুস্থতা কথা বলে কণ্ঠস্বর নমুনা সংগ্রহ করতে দেয়নি এসএসকেএম। সেই কাজ জোকা হাসপাতালে ৩০ মিনিটে সম্পন্ন হল কী করে? এছাড়াও জোকা ইএসআই হাসপাতালে ফিট সার্টিফিকেট পাওয়া সেই কাকু আবার এসএসকেএম হাসপাতালের কেবিনে ভর্তি কেন?

ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথমে কণ্ঠস্বর দিতে অসহযোগিতা করছিলেন 'কাকু'। এরপর কাউন্সিলিং করা হয় চিকিৎসকদের তরফে। তারপর তিনটি বাক্য বলতে বলা হয় তাকে। পরপর দুবার তিনটি বাক্য বলতে বলা হয়। ইডি সূত্রে খবর, ইডি তরফে পরিকল্পনা ছিল, কালীঘাটের কাকুকে জোকা ইএসআই হাসপাতালে ভর্তি রেখে দেবে। যার ফলে ইডির তরফে জানতে চাওয়া হয়েছে, জোকা ইএসআই হাসপাতালে কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রকে রাখা যেতে পারে কি? এর উত্তরে ইডিকে সোজাসুজি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, কালীঘাটের কাকুর উপর সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র একজন কার্ডিওলজির পেশেন্ট, তার বাইপাস সার্জারি হয়েছে। তাকে রাখার মত পরিকাঠামো নেই জোকা ইএসআই হাসপাতালে। এর পাশাপাশি সিকিউরিটির বিষয় থাকে। জোকা ইএসআই রাখতে পারবেনা সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রকে। ইডিকে সাফ জানিয়ে দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। যার ফলে ইডি আধিকারিকদের কার্যত বাধ্য হয়ে এসএসকেএম হাসপাতালকে ফিরিয়ে দিতে হয় কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রকে। গভীর রাত প্রায় ৩টে ৩২ মিনিট নাগাদ এসএসকেএম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের ১ নম্বর কেবিনে স্থানান্তর করা হয়।

তবে এই ইএসআই হাসপাতালের ফিট সার্টিফিকেট দেওয়া 'কালীঘাটের কাকু'র ভয়েস স্যাম্পেল নেওয়ার জন্য এত বেগ পেতে হল কেন ও এসএসকেএম হাসপাতাল কেন তাকে অসুস্থ প্রমাণ করতে মরিয়া, তা নিয়েই উঠছে একাধিক প্রশ্ন।

১) কণ্ঠস্বর নমুনা দেওয়ার জন্য সুস্থ কালীঘাটের কাকু। জোকা ইএসআই বোর্ডের এই রিপোর্ট পাওয়ার পরেই কাকুর নমুনা সংগ্রহ করে ইডি। তাহলে এত দিন অসুস্থতার কথা বলে কাকুর কণ্ঠস্বর নমুনা সংগ্রহে বাধা ছিল এসএসকেএম?

২) ইএসআই হাসপাতালের মেডিক্যাল বোর্ড যাকে ফিট সার্টিফিকেট দিচ্ছে, সেই ব্যাক্তি এসএসকেএম হাসপাতালে আনফিট কি করে?

৩) ইএসআই মেডিক্যাল বোর্ডের রিপোর্ট অনুযায়ী একজন সুস্থ ব্যক্তিকে এসএসকেএম কেবিনে ভর্তি করা হল কেন?

৪) কাউকে আড়াল করতেই কি এসএসকেএম-এ আশ্রয় দেওয়া হচ্ছে কাকুকে। সেটা হলে কার নির্দেশ মেনে এই কাজ করছে এসএসকেএম?

৫) ৩০ মিনিটেই যেখানে কণ্ঠস্বর নমুনা সংগ্রহ সম্পন্ন হলো, সেখানে ইডিকে সহযোগিতা না করে কার নির্দেশে কাকুর কণ্ঠস্বর নমুনা সংগ্রহ বাধা হয়েছিল এসএসকেএম?


Follow us on :