২৭ এপ্রিল, ২০২৪

SSC: 'দোষী প্রমাণ হলে টাকা ফেরত এবং জেল', হাইকোর্টের বার্তা অযোগ্য চাকরিপ্রাপকদের
CN Webdesk      শেষ আপডেট: 2023-02-08 16:07:43   Share:   

OMR Sheet বিকৃতির ফলে প্যানেলভুক্ত ১৬৯৮ জনের বিরুদ্ধে কেন মামলা করছেন না? তদন্তে গতি আনুন। বুধবার এসএসসি নিয়োগ (SSC Recruitment) দুর্নীতি মামলায় এই মন্তব্য করেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু (Justice Basu)। তাঁর মন্তব্য,'স্কুল সার্ভিস কমিশন বা এসএসসি-র উচিৎ নিজে থেকে পদক্ষেপ করা।' এদিন এজলাসে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন স্কুল সার্ভিস কমিশন আর মধ্যশিক্ষা পর্ষদের আইনজীবী। কেন্দ্রীয় সংস্থার আইনজীবী এসএসসি-র উদ্দেশে বলেন, 'সিবিআই হাতে হাড়িভর্তি রসগোল্লা তুলে দেবে এটা হয় না।' পাল্টা এসএসসি আইনজীবীর সওয়াল, 'সেই রসগোল্লার হাড়ি আরশোলায় ভর্তি।'

এই বিতণ্ডার মধ্যেই বিচারপতি বসুর মন্তব্য, 'আমাদের চিন্তা শুধু শিশুদের নিয়ে আর যারা দীর্ঘদিন ধরে চাকরির প্রতীক্ষায় বসে রয়েছে তাঁদের নিয়ে। ইতিমধ্যে ছয় বছর হয়ে গিয়েছে।' স্কুল সার্ভিস কমিশন কাজ শুরু করুক। অযোগ্যদের সরিয়ে দেওয়া হোক, ওয়েটিং লিস্টে থাকা প্রার্থীদের মধ্য থেকে যোগ্যদের নিযুক্ত করা হোক। তালিকা তৈরি হলেই আদালত প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেবে। সব কাজ একদিনের মধ্যেই করতে হবে। আমাদের দেখতে হবে কত তাড়াতাড়ি শূন্যপদগুলি পূরণ করা যায়। কারণ ছাত্ররা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, স্ক্রুটিনি শুরু করুন। যারা অপেক্ষায়, তাঁদের তালিকা প্রস্তুত রাখুন। ভুয়ো চাকুরিজীবীদের বরখাস্ত করার সঙ্গে সঙ্গে নতুনদের নিয়োগ করুন।

গ্রুপ ডি মামলা বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু এহেন মন্তব্য করেছেন বুধবার। তাঁর প্রশ্ন, 'যারা OMR Sheet বিকৃত করেছেন এবং যারা এর ফলে উপকৃত হয়েছেন দুজনেই কি সমানভাবে দায়ী নয়?' এই প্রসঙ্গে সিবিআইয়ের আইনজীবী জানান, 'যারা তদন্তে সহযোগিতা করছে না, তাঁদের সঙ্গে কী করতে হয় আমরা জানি।'

সিবিআইয়ের উচিত এই ১৬৯৮ জনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা। এঁরা আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ পাবেন। নিজেদের নির্দোষ প্রমাণ না করতে পারলে টাকাও যাবে, জেলেও যাবে। এই মন্তব্যও এদিন করেন বিচারপতি বসু।

এদিকে এই OMR শিট বিকৃতি প্রসঙ্গে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের আইনজীবী জানান, 'যাদের OMR Sheet বিকৃত করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে ১৬৯৮ জনকে সুপারিশ পত্র দিয়েছিল এসএসসি। ১৬৯৪ জন নিয়োগপত্র পেয়েছে।' এই তথ্য শুনেই বিচারপতি জানান, 'এই ১৬৯৮ জনকে নোটিশ জারি করা দরকার। এঁদের বক্তব্য শোনার প্রয়োজন রয়েছে। যারা বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের দেওয়া সুযোগের সদ্ব্যবহার করেননি, তাঁরাও এই দুর্নীতিতে সমানভাবে দায়ী। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় অসদুপায় অবলম্বন করে নিযুক্ত সবাইকে চাকরি ছেড়ে তদন্তে সহযোগিতার নির্দেশ দিয়েছিলেন।' জানা গিয়েছে, আগামী সপ্তাহে পরবর্তী শুনানি।


Follow us on :