Share this link via
Or copy link
প্রাক্তন মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর (Paresh Adhikary) মেয়েকে সরিয়ে সরকারি স্কুলে চাকরি পেয়েছেন ববিতা সরকার (Babita Sarkar)। হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশে অঙ্কিতা অধিকারী এযাবৎকাল পাওয়া বেতন তুলে দিয়েছে ববিতাকে। এবার ববিতার নিয়োগ ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। তড়িঘড়ি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন ববিতা সরকার, পিছিয়ে নেই তাঁর নিয়োগ অবৈধ দাবি করা অনামিকা রায়। ববিতা যে চাকরি করছেন, সেই চাকরির দাবিদার অনামিকা, এই দাবিতে হাইকোর্টে গিয়েছেন তিনিও।
দু'পক্ষের দায়ের এই মামলার শুনানিতে বৃহস্পতিবার কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছয়নি আদালত। তবে বেতন বাবদ পাওয়া যে টাকা, ববিতাকে তুলে দিয়েছে অঙ্কিতা, সেই ববিতাকে আলাদা সরিয়ে রাখতে নির্দেশ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। প্রয়োজনে সেই টাকা কলকাতা হাইকোর্টের রেজিষ্টার জেনারেলের কাছে জমা রাখতে হবে। এহেন নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। আগামী নয় জানুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি। সেদিন হলফনামা আকারে অবস্থান জানাতে হবে ববিতা সরকারকে।
আদালতে পরেশ কন্যার চাকরির অন্যতম দাবিদার অনামিকা রায়ের আবেদন, 'ববিতা সরকার ৩১ পেলেও ৩৩ দেখিয়ে চাকরি দেওয়া হয়েছে। আদালতের কাছে সেই নম্বর বাড়ানোর প্রসঙ্গ লুকনো। এদিকে কোর্ট নির্দেশে চাকরি পেয়েছেন ববিতা। এখন তাঁকে সেই চাকরি থেকে অব্যাহতি দিয়ে আমাকে সেই চাকরি দেওয়া হোক।'
এই আবেদনের প্রেক্ষিতে ববিতার আইনজীবী ফিরদৌস শামীম জানান, এটা তৈরি করা গল্প। ববিতা যখন চাকরি পাওয়ার আবেদন করে তখন উনি নিজের নম্বরের কথা জানায়নি আদালতকে। এখন জানাচ্ছেন, ববিতার চাকরি পাওয়ার মামলায় অনামিকাকে দিয়ে সই করানো হয়। এখন উনি অস্বীকার করছেন। চাকরি যার পাওয়ার কথা তিনি পাবেন। আদালতের কাছে লুকনোর কী আছে? আমার মক্কেল সমস্যা দেখেই আদলতকে জানিয়েছে। এর থেকে প্রমাণিত অনামিকা সাজানো গল্প বলছে, প্রয়োজনে তাঁর দাবী তদন্ত করে দেখা হোক।'
বিচারপতি পাল্টা জানান, 'আপনি যেটা অনামিকার সই বলছেন, আমি তো দেখছি না ওটা অনামিকার সই।' এই শুনানিতে পর্ষদ আইনজীবী ভাস্কর বৈশ্য বলেন, 'আমি চাই এই ঘটনায় সিবিআই তদন্ত হোক।' পাল্টা অনামিকা রায়ের আইনজীবী সুদীপ্ত দাশগুপ্ত জানান, 'ববিতা ও অনামিকা একই সাবজেক্টের পরীক্ষার্থী রাষ্ট্রবিজ্ঞানের। অঙ্কিতা অধিকারীর চাকরি ববিতা পান আদালতের নির্দেশে। অঙ্কিতা অধিকারীর র্যাঙ্ক জাম্প ছিল। তারপর ববিতা জানতে পারলেন তিনি ৩৩ না ৩১ পেয়েছেন। এটা যদি হয়, তবে অনামিকার নম্বর ববিতার থেকে বেশি। ইতিমধ্যেই পর্ষদের ভুল প্রকাশ্যে এসেছে, এটাও একটা ভুল।'