২৭ এপ্রিল, ২০২৪

HC: জ্ঞানেশ্বরী তদন্ত চলছেই! বিচারক নেই, ফলে বিচারপ্রক্রিয়া থমকে
CN Webdesk      শেষ আপডেট: 2022-08-23 15:04:19   Share:   

এক দশকের পরেও বাকি জ্ঞানেশ্বরী(Gyansehwari rail accident)) রেল দুর্ঘটনার সাক্ষ্য গ্রহণ। মামলাকারীর আইনজীবী জানান, চলতি বছরে মার্চ মাস থেকে নিম্ন আদালতে(lower court) নেই বিচারক। বাকি রয়েছে সাক্ষ্যগ্রহণও। বন্ধ শুনানি পশ্চিম মেদিনীপুর আদালতে। কি অবস্থায় তদন্ত? কি অবস্থায় রয়েছে মামলা? এর প্রেক্ষিতে সিবিআইকে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট(Kolkata Highcourt)। 

সিবিআইয়ের আইনজীবী জানান, জ্ঞানেশ্বরী রেল দুর্ঘটনার ১৪৮ জনের মৃত্যু হয় ১৭০ জন আহত হয়। রেল কর্তৃপক্ষ ২৫ কোটি টাকার সম্মুখীন হয়েছে। ইতিমধ্যে ২৪৫ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৭১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। জ্ঞানেশ্বরী মামলায় জামিনের আবেদনে দ্বারস্থ হয় মোট ৫ জন। এরা হলেন মন্টু মাহাত, লক্ষ্মণ মাহাত, সঞ্জয় মাহাত,তপন মাহাত এবং বাবলু রানা। সেই মামলাতেই রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিল বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি রাজা বসুচৌধুরীর ডিভিশন বেঞ্চ। রিপোর্টের জন্য সময় দেওয়া হয়েছে ১৫ দিন। উল্লেখ্য এই মামলার বিচার চলছে মেদিনীপুরের অতিরিক্ত দায়রা বিচারকের (আরডি কোর্ট অর্থাৎ রি-ডেজিগনেটেড কোর্ট) আদালতে।

প্রসঙ্গত, ২০১০ সালের ২৭ মে গভীর রাতে ঝাড়গ্রামের সরডিহার রাজাবাঁধ এলাকায় লাইনচ্যুত হয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে হাওড়া থেকে মুম্বইগামী আপ জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেস। ঠিক ওই সময়ে ডাউন লাইনে উল্টো দিক থেকে আসা একটি মালগাড়ির সঙ্গে সংঘর্ষ হয় এক্সপ্রেস ট্রেনটির। মৃত্যু হয় জ্ঞানেশ্বরীর ১৪৮ জন যাত্রীর। ১৭০ জন যাত্রী আহত হন। উল্টো দিকের মালগাড়ির চালকও নিহত হন। অভিযোগ, মাওবাদী-মদতপুষ্ট জনসাধারণের কমিটির লোকজন আপ লাইনের প্যানড্রোল ক্লিপ ও ফিসপ্লেট খুলে দেওয়ায় দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয়েছিল জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেস।


Follow us on :