১৪ মে, ২০২৪

Road: উল্টোডাঙা-এয়ারপোর্ট, দীর্ঘ প্রায় ৫ কিমি রাস্তা লাল আলোর ফাঁসে আটকে ভিআইপি রোড
CN Webdesk      শেষ আপডেট: 2023-04-08 12:22:17   Share:   

প্রসূন গুপ্তঃ প্রথমেই থুড়ি বলে প্রতিবেদনে যাওয়া উচিত। কারণ ভিআইপি রোড নামে কোনও রাস্তা এখন আর নেই। নাম কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ। মুশকিল হচ্ছে ওই নামটি খাতায় কলমে থাকলেও পুরাতন নাম ভিআইপি রোডই লোকের মুখে মুখে। তা এই ভিআইপি রোড প্রধানত বিমানবন্দর যাওয়ার রাস্তা। শুরু উল্টোডাঙা (এখানেও ভুল,হবে বিধাননগর) থেকে বিমানবন্দর। হয়তো উত্তরের মানুষ অর্থাৎ বারাসতের মানুষের জন্য এই রাস্তার শেষ ভাগ বিমানবন্দরের আড়াই নম্বর গেট অবধি। সে যাই হোক না কেন, মূলত এই রাস্তার জন্ম হয়েছিল বিমানবন্দর যাওয়ার বা ফেরার জন্য সেই সিদ্ধার্থ শংকর রায়ের আমলে। বর্তমানে ঝলমলে ভিআইপি রোডে একটি ফ্লাইওভার এসে গিয়েছে, আসছে মেট্রো রেলও। কিন্তু কোথাও অজস্র ক্রসিংয়ের লাল আলোর জন্য এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যেতে বিস্তর সময় লেগে যাচ্ছে।

রেড রোড তৈরিই হয়েছিল ব্রিটিশদের দ্রুত যাতায়াতের জন্য। কারণ সামনেই রয়েছে সেনা বাহিনীর ফোর্ট উইলিয়াম। আজও সেই ট্র্যাডিশন চলেছে। অন্যদিকে, ভিআইপি রোডে উল্টোডাঙা থেকে বিমানবন্দরে যেতে বারবার লাল আলোর ফাঁসে পড়তে হচ্ছে। সারা বিশ্বে সম্ভবত মুম্বই বিমানবন্দর ব্যতীত বাকি সমস্ত উড়ান ধরার কেন্দ্র শহর থেকে অনেকটাই দূরে থাকে এবং নিয়ম অনুযায়ী সে সমস্ত রাজ্যে যানজট রীতিমতো নিয়ন্ত্রণ করা হয়। কলকাতাতেও তাই ছিল।

কিন্তু বিগত কয়েক বছর হলো ক্রসিংয়ের কারণে কোনও গাড়িই দ্রুতগামী হতে পারছে না। উল্টোডাঙা থেকে গাড়ি ভিআইপি রোডে পড়লে প্রথমে খালের উপর দাঁড়াতে হচ্ছে ন্যূনতম ২ মিনিট। এরপর লেকটাউনের ক্রসিং, সময় যাচ্ছে অন্তত ৫ মিনিট। এরপর দমদম পার্কের ক্রসিং। যদি তারপর ফ্লাইওভার ধরতে পারলো তো ঠিক আছে। কিন্তু বাস হলে দাঁড়াতে হবে লাল আলোতে কেষ্টপুরে, নারায়ণতলায়, বাগুইহাটিতে, জোড়া মন্দিরে। সময় যাচ্ছে সবমিলিয়ে অন্তত ১৫ মিনিট। আসবে এরপর হালদিরাম স্টপের লাল আলো। সেখান থেকে যদিও কয়েক মিনিটে যাওয়া যায়, কিন্তু ফিরতে সময় যাবে ৫-৭ মিনিট। আসবে এরপর কৈখালির লাল বাতি, সবশেষে এক নম্বর গেটের বেশ বড় লালে সময় নষ্ট। অতএব মাত্র ৭/৮ কিলোমিটারে লাল বাতির ফাঁসে সময় যাচ্ছে ২০/২২ মিনিট। সরকার দয়া করে দেখবেন কী?


Follow us on :