Share this link via
Or copy link
সংসদ-কাণ্ডে মূল চক্রী ললিত ঝায়ের সঙ্গে বং কানেকশন খুঁজে পাওয়া গিয়েছে। এবার তাঁকে বাংলার শাসক দলের যুব শাখার পদাধিকারী বলে দাবি করলেন শুভেন্দু অধিকারী। সুকান্ত মজুমদারের পর শুভেন্দু অধিকারীর দাবি ঘিরে আরও চড়ছে বঙ্গ রাজনীতির পারদ। শুক্রবার বিরোধী দলনেতা বলেন, ললিত ঝা তৃণমূল যুব কংগ্রেসের পদাধিকারী। তাপস রায়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। বরানগর-উত্তর কলকাতায় তৃণমূল কংগ্রেসের একাধিক কর্মসূচিতে থাকে ললিত, দাবি শুভেন্দুর। তোলামূলীদের রাজত্বে বাংলা দেশ-বিরোধীদের স্বর্গরাজ্য হয়ে উঠেছে, অভিযোগ তাঁর। শুক্রবার ঠিক কী বলেছেন শুভেন্দু অধিকারী।
শুক্রবার সকাল হতেই ললিত-কাণ্ডে শাসক দলের প্রতি সুর চড়ান শুভেন্দু। বিজেপি নেতা অমিত মালব্যের করা একটি এক্স পোস্ট শেয়ারও করেন বিরোধী দলনেতা। তিনি লেখেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সফলভাবে বাংলায় এমন একটা বাস্তুতন্ত্র তৈরি করেছেন যেখানে শহুরে নকশাল, টুকরে টুকরে গ্যাংয়ের অবাধ বিচরণ। অনুপ্রবেশকারী, বেআইনি উদ্বাস্তুরা এ রাজ্যে সহজেই নাগরিক হয়ে যাচ্ছেন। যাঁরা দেশবিরোধী কার্যকলাপে যুক্ত, তাঁদের স্বর্গরাজ্য বাংলা, এভাবেই তোপ দাগেন শুভেন্দু। বেলা বাড়তেই তিনি ললিতের সঙ্গে তৃণমূল যুব কংগ্রেসের যোগসূত্র টানলেন। বৃহস্পতিবার তৃণমূলের প্রবীণ বিধায়ক তাপস রায়ের সঙ্গে ললিত ঝায়ের ঘনিষ্ঠতা খুঁজে বের করছিলেন সুকান্ত মজুমদার। তিনি তাপস-ললিত একফ্রেমে এমন একটা ছবি পোস্ট করে লিখেছিলেন, গণতন্ত্রের মন্দিরে হামলাকারী ললিত ঝার সঙ্গে তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায়ের যোগাযোগ সামনে এসেছে। তাতে ওই তৃণমূল নেতাকে তদন্তের আওতায় আনার মতো এটা কি যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ নয়? এ প্রসঙ্গে সিএন-কে সুকান্ত মজুমদার বলেছিলেন, বিরোধীরা বিজেপির বিরোধিতা করতে গিয়ে এবং ভোটে জেতার জন্য যেভাবে দেশের বিরোধিতা করছেন, তা ভাবা যায় না। বিষয়টির তদন্ত হওয়া দরকার। এবার দলের রাজ্য সভাপতির পথে হাঁটলেন বিরোধী দলনেতাও।
বিজেপির এহেন জোড়া আক্রমণ ভোঁতা করতে আসরে নামেন তাপস রায়। ললিত এবং তাঁকে জড়িয়ে করা পোস্টের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেবেন তৃণমূল বিধায়ক, এমনটাই জানান তাপস রায়। পাশাপাশি তদন্তকারী সংস্থা তলব করলে আমি সহযোগিতায় রাজি, স্পষ্ট অবস্থান জানান তাপস রায়। পাল্টা সুকান্ত মজুমদার দাবি করেন মূল চক্রীর সঙ্গে কংগ্রেস, সিপিএম এবং তৃণমূল কংগ্রেসের যোগ আছে। তদন্তে খতিয়ে দেখা হোক বড় কোনও ষড়যন্ত্র রয়েছে কিনা, দাবি বিজেপির রাজ্য সভাপতির।