Share this link via
Or copy link
অশোক সিংকে থানায় পিটিয়ে মারার ঘটনায় ইতিমধ্যে কাঠগড়ায় পুলিস। এই ঘটনার জল গড়িয়েছে হাইকোর্ট অবধি। সিবিআই তদন্ত চেয়ে বুধবার থেকেই সপ্তমে পরিবার, পরিজন-সহ স্থানীয়রা। শীতের শহরের এই তপ্ত আবহে এবার পুলিসের হাতে অশোক সিংয়ের ময়না তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট। সেই রিপোর্টে বলা, রোগীর প্রি-এক্সিস্টিং রোগে ভুগছিলেন, ম্যালিগন্যান্সি হতে পারে। মস্তিষ্কে একটি অ্যানুরিজম (বেলুনের মতো) তৈরি হয়েছিল এবং হঠাৎ ফেটে গিয়েছিল। শরীরে কোনও আঘাত নেই। তাঁর সম্ভবত ম্যালিগনেন্সির কোনও চিকিৎসা চলছে, শরীরের কালো ত্বক ও নখে তা প্রতিফলিত হয়। মৃতের একটি ব্রেন টিউমারও ছিল, যা সংরক্ষণ করা হয়েছে। ত্বক সংরক্ষণ করা হয়েছে, বায়োপসির জন্য। অণ্ডকোষের নিচে বেশ কিছু আলসারও মিলেছে। এটি একটি স্বাভাবিক মৃত্যু, মস্তিষ্কের অ্যানুরিজমের রাপচারের কারণে হতে পারে। কারণ ইন্টার ক্র্যানিয়াল হ্যামারেজ, এ ক্ষেত্রে নাটকীয়ভাবে মৃত্যু ঘটে। এমনটাই উল্লেখ আমহার্স্ট স্ট্রিট থানা-কাণ্ডে মৃতের পোস্টমর্টেমের প্রাথমিক রিপোর্টে।
উল্লেখ্য, ভিডিওগ্রাফির মাধ্যমে বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে দেড় ঘণ্টার বেশি সময় ধরে চলেছে ময়না তদন্ত। জানা গিয়েছে, তিন জন চিকিৎসকের উপস্থিতিতে সম্পন্ন হয়েছে ময়না তদন্ত। এদিকে, অভিযোগ পরিবারের লোকদের উপস্থিতির আগেই শুরু হয়ে যায় ময়না তদন্ত। তাই পরিবারের লোক ছাড়া কীভাবে পোস্ট মর্টেম শুরু, উঠে যাচ্ছে এই প্রশ্ন।
তবে বৃহস্পতিবার কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছিল কলকাতা পুলিস মর্গ। ময়না তদন্তে পরিবারের লোককে উপস্থিত থাকতে নোটিসও পাঠিয়েছিল কলকাতা পুলিস, এমনটাই সূত্রের খবর। এদিকে, কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ কোনও হাসপাতালে ময়নাতদন্ত এবং থানার সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে অশোকের পরিবার। মৃতের পরিবারের দাবি, সিসিটিভি ফুটেজ দেখতে চাইলেও, পুলিস তা দেখায়নি। দাবি, কেন্দ্রীয় সরকারের অধীন (কমান্ড / রেল) হাসপাতালে ময়নাতদন্ত করতে হবে।
ইতিমধ্যে ঘটনার পর পরিবারের তরফ থেকে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। সেই সময় আমহার্স্ট স্ট্রিট থানায় কর্মরত সকল পুলিস অফিসারের বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে অভিযোগ। নিরপেক্ষ তদন্তের দাবিতে মামলাও হয়েছে হাইকোর্টে। কোনও সরকারি হাসপাতালে যাতে অশোকের ময়না তদন্ত না হয়, সেই আর্জি জানানো হয়েছে মহামান্য আদালতকে। উল্লেখ্য, একটি ফোন চুরির বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অশোককে আমহার্স্ট স্ট্রিট থানায় ডেকে পাঠানো হয়। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, থানায় জিজ্ঞাসাবাদের সময়ই পুলিস তাঁকে পিটিয়ে মেরে ফেলে। আর এরপরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। পুলিসকে ঘিরে বিক্ষোভও দেখান তাঁরা।