Share this link via
Or copy link
মণি ভট্টাচার্য: কথায় আছে, গরিবের কথা বাসী হলে ফলে। ছোটবেলায় মা-বাবাকে শুনতাম তাঁরা মশার কামড়, বিভিন্ন পোকা-মাকড়ের কামড়, ইত্যাদি থেকে বাঁচতে বা এড়াতে মশারি টাঙিয়ে শোবার কথা বলতেন। কিন্তু ইদানিং কালে সেসবের বালাই ছিল না। কার্যত উঠেই গিয়েছিল। শহরতলীর নিতান্ত গ্রাম এলাকা কিংবা প্রত্যন্ত গ্রাম এলাকা ছাড়া মশারির প্রচলন তেমন নেই বললেই চলে। কিন্তু বর্তমানে শহর থেকে শহরতলী, কম বেশি সবাই ডেঙ্গি থেকে বাঁচতে লাইন দিয়েছেন মশারির দোকানে। এমনই চিত্র দেখা গেল কলকাতা, সহ উত্তর ও দক্ষিণ শহরতলীর বহু এলাকায়।
সূত্রের খবর, রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বিপদ সীমাকে ছুঁয়েছে। সেই সঙ্গে বর্ষাকালে ডেঙ্গির প্রকোপে ইতিমধ্যে ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। যা নিয়ে তোলপাড় গোটা রাজ্য।সেই সঙ্গে রাজ্য স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে খবর, এখনও অবধি উত্তর ২৪ পরগনা, নদীয়া ও হুগলি জেলায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা সর্বোচ্চ। সংশ্লিষ্ট জেলাগুলির স্বাস্থ্য অধিকর্তা সূত্রে খবর, নদিয়ায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ২৯৩ জন। উত্তর ২৪ পরগনায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ১৪৩ জন ও হুগলি জেলায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ৪৩ জন। এ অবস্থায় কেবল এই জেলাগুলি নয় সতর্ক করা হয়েছে গোটা রাজ্যকেও। জমা জল, নোংরা-আবর্জনা ইত্যাদি পরিষ্কার করার নির্দেশিকা দিয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। পাশাপাশি ডেঙ্গি মশার কামড় এড়াতে মশারির ব্যবহার করতে বলা হয়েছে সাধারণ মানুষকে।
সেই মতো এদিন দেখা গেল কলকাতার বিভিন্ন মশারির দোকানে লাইন দিয়ে মশারি কিনছেন বহু মানুষ। পাশাপাশি বারাসত দমদম ও বিভিন্ন এলাকায় মশারির দোকানে ভিড় দেখা গেল ।এ বিষয়ে একজন মশারি বিক্রেতা এদিন জানান, অন্যান্য সময় আমাদের মশারি তেমন বিক্রি হয় না, কিন্তু ডেঙ্গির প্রকোপ বাড়তেই এবার বহু মশারির বিক্রি হয়েছে ইতিমধ্যেই।
এ বিষয়ে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের এক অধিকর্তা জানান, ডেঙ্গি মশার কামড় এড়াতে যেমন মশারি ব্যবহার প্রয়োজন, তেমনই ডেঙ্গির প্রজনন রুখতে, বাড়ির পাশে জলাশয়, কিংবা নোংরা-আবর্জনা, ইত্যাদি পরিষ্কার রাখার দিকেও নজর রাখতে হবে সাধারণ মানুষকে। যদিও ডেঙ্গি রুখতে ইতিমধ্যেই মাঠে নেমে পড়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর ও স্থানীয় পুরসভা গুলি। স্থানীয় পুরসভাগুলির তরফে বিভিন্ন এলাকায় পুকুর ও নর্দমাগুলিতে ডেঙ্গির লার্ভা নাশ করার জন্য গাপ্পি মাছ ছাড়া হয়েছে। পাশাপাশি স্প্রে ও ধোয়ার মাধ্যমে ডেঙ্গি মশার নিকেশ অভিযান চালাচ্ছে পুরসভাগুলি।