Share this link via
Or copy link
দত্তপুকুরের বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে ইতিমধ্যেই প্রাণ হারিয়েছেন ৮ জন। এ ঘটনায় রীতিমত প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে প্রশাসনের বিরুদ্ধে। সূত্রের খবর, স্থানীয় বাসিন্দারা এই ঘটনায় স্থানীয় পুলিস ও শাসক দলের নেতাদের দায়ী করেছেন। এ ঘটনায় গতকাল অর্থাৎ রবিবার রাতেই মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের বাড়িতে রাজ্য পুলিসের ডিজিকে নিয়ে জরুরি বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। মমতা বন্দোপাধ্যায়, ডিজি মনোজ মালব্য ছাড়াও এ বৈঠকে ছিলেন রাজ্যসচিব ও অভিষেক বন্দোপাধ্যায়।
চলতি বছরেই এগরার পর মহেশতলা, একের পর এক বাজি কারখানা বিস্ফোরণে প্রাণ গিয়েছে বহু মানুষের। এরপর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় বাজি কারখানা বন্ধে কড়া হতে বলেন রাজ্য পুলিসকে। সেসময় রাজ্য পুলিসকে কড়া হাতে বাজি কারখানা বন্ধের জন্য নির্দেশ দেয় নবান্ন। তার ঠিক ৩ মাস পর দত্তপুকুর থানার নীলগঞ্জের মোচপোলে এমন বিস্ফোরণে স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন উঠেছে প্রশাসনের বিরুদ্ধে। প্রশ্ন উঠছে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও। এ ঘটনায় স্বাভবিকভাবেই ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়।
দত্তপুকুরের বাজি কারখানা বিস্ফোরণে ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল বোস। ঘটনাস্থল থেকে তিনি জানান, 'এটি বড় ঘটনা, এটা কাম্য নয়। পুলিস অপরাধীদের যোগ্য সাজা দেবে।' পাশাপাশি এ ঘটনায় ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন বারাসতের সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার, বিধায়ক ও খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ। এ ঘটনায় আজ অর্থাৎ সোমবার ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যেতে পারেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।