১৩ মে, ২০২৪

Report: রাজ্য শিক্ষাব্যবস্থার পরিকাঠামো নিয়ে ফের কেন্দ্র-রাজ্য বিবাদ প্রকাশ্যে, বিস্ফোরক ব্রাত্য
CN Webdesk      শেষ আপডেট: 2024-01-11 18:57:07   Share:   

স্কুলে রয়েছে কম্পিউটার। কিন্তু তা নিষ্ক্রিয়, হয় না ব্যবহার। আবার কোথাও কোথাও খোলা আকাশের নীচেই চলছে মিড-ডে মিলের রান্না। স্বাস্থ্যবিধি কার্যত শিকেয় উঠেছে। খালি পায়ে স্কুলে যাচ্ছে শিশুরা। রাজ্যের শিক্ষা পরিকাঠামোর এমনই উদ্বেগজনক চিত্র উঠে এসেছে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের কাছে পাঠানো রিপোর্টে। সূত্রের খবর, চলতি মাসে ৮ ও ৯ই জানুয়ারি কেন্দ্রীয় শিক্ষমন্ত্রকের একটি প্রতিনিধি দল দক্ষিবঙ্গের আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকা বাঁকুড়া, পুরুলিয়া জেলার সরকারি প্রাইমারি ও উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল, সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত কলেজ গুলি ঘুরে রাজ্যে শিক্ষাব্যবস্থার পরিকাঠামো নিয়ে রিপোর্ট দিল কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রককে। যেখানে এরকম চাঞ্চল্যকর অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছে। এমনকি তা জানিয়ে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিও জারি করেছে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রক।

এ প্রসঙ্গে স্কুলগুলির নাম উল্লেখ করে চূড়ান্ত বেহাল দশার অভিযোগ কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকারের।

এই রিপোর্টের বিষয়ে সুভাষ সরকার জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে, কম্পিউটার সেট থাকলেও অনেক স্কুলে তা ব্যবহার করা হচ্ছে না। কম্পিউটার প্রশিক্ষণে ঢিলেমির বিষয়টিও উঠে এসেছে রিপোর্টে। স্মার্ট ক্লাসরুম না বানানোর বিষয়ও রিপোর্টে রয়েছে বলে সূত্রের খবর।

যদিও এই রিপোর্টের বিরুদ্ধে এক্স হ্যান্ডেলে পাল্টা জবাব দিয়েছেন রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু। ব্রাত্য বসুর দাবি, এই রিপোর্টে গেরুয়া প্রভাব রয়েছে। পুরুলিয়া এবং বাঁকুড়ায় কেন্দ্রীয় দলের পর্যবেক্ষণের উপর একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক। আমাদের মনে হয়েছে, সেই পর্যবেক্ষণের অধিকাংশই গেরুয়া প্রভাবিত। তাঁরা খালিয়ে পায়ের ছাত্র-ছাত্রীদের কথা বলেছে। কিন্তু জানে না পশ্চিমবঙ্গ সরকার সকল ছাত্র-ছাত্রীদের জামা ও জুতো দেয়। খোলা আকাশের নীচে মিড ডে মিল রান্নার কথা বলেছে। কিন্তু মিড ডে মিলের শেড তৈরির জন্য ফান্ড আটকে রেখেছে। কিন্তু চিন্তার কিছু নেই। পশ্চিমবঙ্গ সরকার সীমিত ক্ষমতা দিয়েই স্কুলে রান্নার জন্য শেড তৈরি করবে।”

কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর অবশ্য বক্তব্য, 'যিনি বলেছেন, তিনি না জেনে বলেছেন। কারণ শিক্ষা হচ্ছে, রাজ্য ও কেন্দ্রের যৌথ বিষয়। সেখানে রাজ্য আগে মেমোরেন্ডাম অফ আন্ডারস্ট্যান্ডিং-এ সই করবে, করে যাদবপুর ইউনিভার্সিটির নাম রেকমেন্ড করবে, কী প্রয়োজন সেটা বলবে, তখন পাবে। কাজে এটা কোনও প্রশ্নই আসছে না। এটা একটা ভুল ব্যাখ্যা।'

কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকারের দাবি, রাজ্য সরকারের জন্যই আটকে রয়েছে পিএম ঊষা প্রকল্পের কোটি কোটি টাকা।


Follow us on :