২৬ এপ্রিল, ২০২৪

Transfer: 'জঙ্গলের নিয়ম বন্ধ হোক', শিক্ষক বদলি মামলায় কড়া পর্যবেক্ষণ হাইকোর্টের
CN Webdesk      শেষ আপডেট: 2023-01-20 20:09:29   Share:   

বদলি (Teacher Transfer) চেয়ে এক শিক্ষক হাইকোর্টে মামলা করেন। তাঁর অভিযোগ, 'তিনি বদলি  চাইছেন। কিন্তু শিক্ষা দফতর ইচ্ছে করে তাঁকে বদলি করছে না।' শুক্রবার সেই মামলার শুনানিতে গোটা শিক্ষক বদলি প্রক্রিয়া নিয়ে কড়া পর্যবেক্ষণ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। এদিন বিচারপতি বসু স্পষ্ট সুরে বলেন, ‘এই জঙ্গলের নিয়ম চলতে পারে না। এটা শেষ হওয়া দরকার। শিক্ষা দফতরের নিয়ম কার্যকর করা প্রয়োজন।’ যদিও কেন ওই শিক্ষকের বদলির আবেদনে শিক্ষা দফতর (Education Department) সায় দেয়নি। আদালতকে সে ব্যাপারে অবগত করা হয়েছে।

দফতরের যুক্তি, 'ওই স্কুলে অঙ্কের আর কোনও শিক্ষক নেই। তাই তাঁকে বদলি দেওয়া যাচ্ছে না।' এই সওয়াল-জবাব শুনে হাইকোর্ট দুটি পর্যবেক্ষণ দিয়েছে, ১) একটি স্কুলে অঙ্কের শিক্ষক থাকছে না, সেটা যেমন বিপজ্জনক। ২) ছাত্রহীন স্কুলে শিক্ষকদের ফেলে রাখাও শিক্ষাব্যবস্থার জন্য বিপজ্জনক।

বিচারপতি বসুর পর্যবেক্ষণ, 'একটি জেলায় যদি কোনও ছাত্র-শূন্য স্কুল থেকে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বদলি করে অন্য কোনও পার্শ্ববর্তী জেলার ভরা স্কুলে পাঠানো হয়, তাহলে তাঁকে সেখানে গিয়েই পড়াতে হবে।' অর্থাৎ আসি যাই, মাইনে পাই বন্দোবস্ত চলবে না। এমনটাই মত দিয়েছে হাইকোর্টের।

এদিন রাজ্যের তরফে অ্যাডভোকেট জেনারেল জানান, 'শিক্ষা দফতর ট্রান্সফার দিলে অনেক সময়ে আদালতের নির্দেশে শিক্ষক-শিক্ষিকারা তা কার্যকর করছেন না। আবার অনেক সময়ে আদালতে মামলা করে নিজেদের সুবিধা মতো বদলি নিয়ে নিচ্ছেন কেউ কেউ।'

এ ব্যাপারে আদালত রাজ্য সরকারকে আরও কড়া হওয়ার কথা বলেছে। হাইকোর্টের নির্দেশ, 'কাউকে বদলি করা হলে সাত দিনের মধ্যে তা কার্যকর করতে হবে। না হলে বিভাগীয় পদক্ষেপ করতে পারবে শিক্ষা দফতর।' রাজ্য সরকার শিক্ষক বদলির জন্য ‘উৎসশ্রী’ পোর্টাল চালু করেছিল। আপাতত সেখানে আবেদন জানানোও বন্ধ রয়েছে। তার মধ্যেই এদিন শিক্ষক বদলি নিয়ে এহেন কড়া পর্যবেক্ষণ কলকাতা হাইকোর্টের।


Follow us on :