১৭ মে, ২০২৪

ED: সিজিওতে বিশ্বজিৎ দাস, ইডি হেফাজতে ধৃত ব্যবসায়ী
CN Webdesk      শেষ আপডেট: 2024-02-18 13:28:57   Share:   

রেশন বন্টন দুর্নীতিতে ধৃত শঙ্কর আঢ্যের কোম্পানির সূত্র ধরে সম্প্রতি নাম উঠে এসেছিল ব্যবসায়ী বিশ্বজিৎ দাসের। ১৪ ফেব্রুয়ারি ২৪ ঘণ্টা ধরে বাড়িতে দফায় দফায় তল্লাশির পর  গ্রেফতার করা হয়েছিল ব্যবসায়ী বিশ্বজিৎ দাসকে। আদালতের নির্দেশ মাফিক আগামী শুক্রবার পর্যন্ত ইডি হেফাজতেই থাকবেন শঙ্কর আঢ্য ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী। গত শুক্রবারই ব্যাঙ্কশাল আদালতে অভিযুক্ত ব্যবসায়ীকে পেশ করার সময় একাধিক চাঞ্চল্যকর মন্তব্য করেছিলেন তিনি। স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হতে তিনিই জানিয়েছিলেন তাঁর সঙ্গে অন্যায় হয়েছে। তিনি নির্দোষ। অভিযুক্ত ব্যবসায়ী দাবি করেছিলেন, ধৃত শঙ্কর আঢ্যকে চিনলেও ঘনিষ্ঠতা ছিল না তাঁর সঙ্গে। একের পর এক বিস্ফোরক মন্তব্য করে বিশ্বজিৎবাবুর নিজেকে দোষহীন প্রমাণ করার আপ্রাণ চেষ্টা আদৌ ধোপে টেকেনি তা সহজেই অনুমেয়।

প্রসঙ্গত, ১৪ ফেব্রুয়ারি গ্রেফতার হওয়া বিশ্বজিৎ-এর বাড়ি ও অফিসে তল্লাশি চালিয়ে ইডির আধিকারিকরা উদ্ধার করেছিলেন হাওয়ালা সংক্রান্ত বিপুল নথি। জানা গিয়েছিল, শঙ্কর আঢ্য ঘনিষ্ঠ এই ব্যবসায়ীর বিদেশি মুদ্রা কেনাবেচার ব্যবসা রয়েছে। রয়েছে তাঁর এক্সপোর্ট ইম্পোর্ট-এর ব্যবসাও। বিশ্বজিতের নিজস্ব দফতরে কর্মরত কর্মীর বয়ান থেকেও জানা গিয়েছিল, হাওয়ালার মাধ্যমে টাকা পাচারের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বিশ্বজিৎ। শুধু বিদেশি মুদ্রা কেনাবেচাই নয়, শঙ্কর আঢ্যর কথামতো বাইরের দেশে ঘুরপথে কালো টাকাকে সাদা করার কারবারও করতেন বিশ্বজিৎ দাস। দুর্নীতির একাধিক প্রমাণ মিলেছিল যার বাড়িতে সেই ব্যবসায়ীর একাধিক অসঙ্গতিপূর্ণ মন্তব্যে সন্দেহ যে মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে তা বলার অপেক্ষা রাখেনা। রবিবার ফের রেশন বন্টন দুর্নীতিতে ধৃত শঙ্কর আঢ্য ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী বিশ্বজিৎ দাসকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর নিয়ে আসা হয় ইডির দফতরে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দামহলের জেরার মুখে শঙ্কর ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীর কাছ থেকে আর কোন কোন সত্য বেরিয়ে আসে এখন সেটাই দেখার।


Follow us on :