১৩ মে, ২০২৪

Fraud: টাকা আত্মসাতের অভিযোগ শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে, ঘোষপুরে বিক্ষোভ মাছের এজেন্টদের
CN Webdesk      শেষ আপডেট: 2024-01-28 18:29:54   Share:   

এবার প্রকাশ্যে সন্দেশখালির বেতাজ বাদশা শেখ শাহাজাহানের বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠে এল প্রকাশ্যে। অভিযোগ, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের বাগদা মাছের এজেন্টদের থেকে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে পলাতক তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান। টাকা ফেরতের দাবিতে এবার ঘোষপুরে বিক্ষোভ মাছের এজেন্টদের। প্রকাশ্যে আসছে তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে ক্ষোভ। কারণ, টাকা চাইলে হুমকির অভিযোগ ফেরার তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে।

জানা গিয়েছে, কলকাতা বাসন্তী হাইওয়ের হাড়োয়ার ঘোষপুরের কাছে একটি বাগদা মাছের কোম্পানিতে মাছ সরবরাহ করতেন পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, উত্তর চব্বিশ পরগনা সহ বিভিন্ন জেলার বাগদা মাছের এজেন্টরা। বিভিন্ন জায়গার পাশাপাশি, এই মাছের কোম্পানিতে এজেন্ট হিসাবে মাছ সরবরাহ করতেন, সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান। গত ২০১৮ সালে আগস্ট নাগাদ ওই কোম্পানি,  মাছের এজেন্টদের প্রায় ১০ কোটি টাকা আটকে দেয়। সেই টাকা দিতে না পারায় ওই কোম্পানিতে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছিলেন সন্দেশখালীর তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান। তারপর সমস্ত এজেন্টদের নিয়ে কোম্পানির কর্মকর্তারা বসে সিদ্ধান্ত নেন , কোম্পানিতে মজুত রাখা সমস্ত বাগদা ও গলদা চিংড়ি বিক্রি করে এজেন্টদের টাকা দেওয়া হবে। এরপর  ওই কোম্পানিতে থাকা সমস্ত মাছ নিয়ে নেন সন্দেশখালির  তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান। কিন্তু তিনি মাছ নেওয়ার সময় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে, মাছ অন্য কোম্পানিতে বিক্রি করে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের এজেন্টদের টাকা দিয়ে দেবেন। এরপরেই ভোল পাল্টে যায় শেখ শাহজাহানের। মাছ বিক্রির প্রায় ৯ লক্ষ টাকা পুরোটাই আত্মসাৎ করেন শাহজাহান। সেই টাকা তাঁর  কাছে চাইতে গেলেই এজেন্টদের সঙ্গে কখনও  দুর্ব্যবহার, কখনও বা প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি পেতেন এজেন্টরা।

টাকা ফেরত এর দাবিতে রবিবার ঘোষপুরের ওই মাছের কোম্পানির সামনে বিক্ষোভে সামিল হলেন বিভিন্ন জেলার মাছের এজেন্টরা। প্রায় আধ ঘন্টা ধরে বিক্ষোভ দেখানোর পর বিক্ষোভ তুলেনেন তাঁরা। তবে টাকা দিতে না পারায় পাওনাদারের ভয়ে বাড়িছাড়া হয়েছেন, বিপদের মধ্যে রয়েছেন বলেই জানালেন এজেন্টরা। এবং সমগ্র ঘটনায় অভিযোগের তীর যে শেখ শাহজাহানের দিকেই তা বলাই বাহুল্য।

প্রসঙ্গত, সন্দেশখালির এই বেতাজ বাদশা গত ৩ সপ্তাহ ধরে পলাতক। গত ৫ জানুয়ারি রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি অভিযানে গিয়েছিল ইডি। কিন্তু শেখ  শাহজাহানের দেখা পাওয়া তো দূর, উল্টে তাঁর ডেরায় ঢুকতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়ে কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডির আধিকারিকরা।  হামলা হয় ইডি, সিআরপিএফ এবং সংবাদ মাধ্যমের কর্মীদের ওপরেও।  তারপর থেকেই টিকিটিও মিলছে না তৃণমূলের এই নেতার। ইতিমধ্যেই শাহজাহানের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগের পাশাপাশি এবার টাকা আত্মসাতের অভিযোগও উঠে এল প্রকাশ্যে। এবার তাঁর বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন বিভিন্ন জেলার মাছের এজেন্টরা।


Follow us on :