Share this link via
Or copy link
লোকসভা নির্বাচনের রুটম্যাপ নির্ধারণে বঙ্গে এসেছিলেন শাহ-নাড্ডা। রবিবার রাতে শহরে পা রাখেন তাঁরা। সোমবার রাজ্য নেতাদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করে নির্বাচনের রণকৌশল নির্ধারণ করেন শাহ-নাড্ডা জুটি। নির্ধারণ করে দেন, ৩৫ আসনের লক্ষ্যমাত্রা।
রাজ্য নেতাদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করে নির্বাচনের রণকৌশল নির্ধারণ করেন শাহ-নাড্ডা জুটি। নির্ধারণ করে দেন, ৩৫আসনের লক্ষ্যমাত্রা। নির্বাচনী কোর কমিটি গঠনের পর মঙ্গলবার জাতীয় গ্রন্থাগারে আইটি সেলের সদস্যদের সঙ্গে আলোচনায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে সিএএ থেকে বাংলার দুর্নীতি সব প্রসঙ্গেই রাজ্যের শাসকদলকে কড়া আক্রমণ শানান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, 'বাংলার মানুষ যে আশা নিয়ে বাম সরকারের অবসান ঘটিয়েছিলেন, তাঁরা এখন আশাহত।' এর পরেই রাজ্যের দুর্নীতি ও হিংসা নিয়ে সরব হন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। কাঠগড়ায় তোলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এছাড়াও অমিত শাহর বৈঠকেও উঠে এসেছে ভাইপো-প্রসঙ্গ। সূত্রের দাবি, মঙ্গলবার আইটি সেলের বৈঠকে অমিত শাহর ভাষণের সময়, বিজেপি কর্মীদের একাংশ প্রশ্ন করেন, ভাইপো গ্রেফতার কবে? যার জবাবও দিয়েছেন অমিত শাহ। এছাড়াও সিএএ নিয়ে সরব হয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, 'দিদি প্রায়ই আমাদের উদ্বাস্তু ভাইদের সিএএ নিয়ে বিভ্রান্ত করেন। আমি এটা পরিষ্কার করে দিতে চাই যে সিএএ হল দেশের আইন, এবং কেউ এর বাস্তবায়ন আটকাতে পারবে না।'
এদিন শাহী টনিকে উজ্জীবিত বঙ্গের বিজেপি নেতারা। শাহ-নাড্ডার দেখানো পথেই নির্বাচনে লড়াইয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ার বিষয়ে প্রত্যয়ী বঙ্গ গেরুয়া ব্রিগেডের নেতারা। একদিকে যখন শাহ-নাড্ডার ভোকাল টনিকে উজ্জীবিত বঙ্গ বিজেপি, সেই মুহূর্তে বড়সড় সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের। কেন্দ্রীয় সম্পাদকের পদ থেকে সরানো হয় অনুপম হাজরাকে। সম্প্রতি তাঁর করা একাধিক পোস্টে বিতর্ক তৈরি হয়। সেই বিতর্কের জবনিতা টানতেই এই সিদ্ধান্ত বলে ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।